খুলনা: খুলনার মহেশ্বরপাশায় নিখোঁজ হওয়া সেই রহিমা বেগমকে অক্ষত অবস্থায় ফরিদপুর থেকে উদ্ধার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
তিনি স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন বলে বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা।
তিনি জানান, শনিবার রাত পৌনে ১১টায় তাকে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ- কমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে রহিমা বেগমকে ফরিদপুর বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে আছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে এডিসি দৌলতপুরের নেতৃত্বে থানার ওসিসহ কয়েকজন পুলিশ অভিযানে যায়। সেখানে গিয়ে তাকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল ওহাব বলেন, ফরিদপুরের বোয়ালমারী ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার বাড়ি থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে তাকে খুলনায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গত ২৭ আগস্ট রাত আনুমানিক ১০টার দিকে খুলনা মহানগরীর মহেশ্বরপাশার উত্তর বণিকপাড়ার নিজ বাসা থেকে টিউবওয়েলে পানি আনতে নিয়ে নিখোঁজ হন রহিমা বেগম। এরপর আর ঘরে ফেরেননি তিনি। স্বামী ও ভাড়াটিয়ারা নলকূপের পাশে ঝোপঝাড়ে তার ব্যবহৃত ওড়না, স্যান্ডেল ও বালতি দেখতে পান। সেই রাতে মাকে খুঁজতে আত্মীয়স্বজন, আশপাশসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেন সন্তানরা।
রহিমার ৬ সন্তান কখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কখনো মাইকিং, কখনো আত্মীয়-স্বজনদের দ্বারস্থ হয়েছেন। সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধনের পর মাকে খুঁজে পেতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর থানায় মামলাও দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২
এমআরএম/আরএ