সিরাজগঞ্জ: হার্পিস সিমপ্লেক্স নামে এক ধরনের ভাইরাসের উপদ্রব বাড়ায় সিরাজগঞ্জে ডা. এম এ মতিন বিএনএসবি বেজ চক্ষু হাসপাতালে দু’দিন ধরে বন্ধ রয়েছে চোখের ছানি অপারেশন।
এদিকে প্রতিদিনই এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হাসপাতালের ম্যানেজার (এইচআর অ্যান্ড অ্যাডমিন) এস এম কবির উদ্দিন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ভাইরাসের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় দু’দিন ধরে অপারেশন বন্ধ রয়েছে। সেই সঙ্গে বন্ধ রয়েছে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্পও। এদিকে ছানি অপারেশন করতে এসে ফিরে যাচ্ছেন অনেক রোগী।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, দাতা সংস্থা সাইট সেভার্স-ইউকের সহযোগিতায় প্রফেসর ডা. এম এ মতিন বিএনএসবি বেজ চক্ষু হাসপাতালের উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতি সপ্তাহে গড়ে চারটি করে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প করা হয়। ওই ক্যাম্প থেকে চোখে ছানি পড়া রোগীদের হাসপাতালে এনে বিনামূলে অপারেশন করা হয়। শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন গড়ে ৩০ জন রোগীর ছানি অপারেশন করা হয়। গত ২০ সেপ্টেম্বর তাড়াশ উপজেলার নওগাঁয় একটি চক্ষু ক্যাম্প করা হয়েছিল। সেখান থেকে ৩৫/৪০ জন ছানি পড়া রোগীকে বাছাই করে তাদের অপারেশন করা হয়। তাদের মধ্যে দু’জন হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসে আক্রান্ত হন। একজনের অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাকে ঢাকা ইসলামিয়া আই হসপিটালে পাঠাতে হয়েছে। এরপর থেকেই এ হাসপাতালে অপারেশন বন্ধ রয়েছে।
ম্যানেজার এস এম কবির উদ্দিন বলেন, এ হাসপাতালে আসা চোখের রোগীদের মধ্যে এ ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। শনিবার চক্ষু রোগীর সংখ্যা ছিল ২২৩ জন, রোববার ২৯৭ জন। তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশই ওই ভাইরাসে আক্রান্ত।
হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডা. জাহাঙ্গীর আলম জানান, চোখে কয়েক ধরনের ভাইরাস আক্রমণ করতে পারে। তার মধ্যে বেশি কমন এডিনো ভাইরাস। এছাড়া হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস, ভেরিসেলা জোস্টার ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবও দেখা যায়। বর্তমানে যে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে সেটি হলো হার্পিস সিমপ্লেক্স। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে চোখের ভেতরে খচ খচ করে, লাল হয়ে যায়, মাঝে মধ্যে ব্যথা করে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২
এসআই