ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জঙ্গি ছিনতাই: তদন্তে বাড়তি সময় চাইবে ডিএমপির কমিটি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২২
জঙ্গি ছিনতাই: তদন্তে বাড়তি সময় চাইবে ডিএমপির কমিটি

ঢাকা: আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ডিএমপির গঠিত তদন্ত কমিটি নির্ধারিত সময় তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিচ্ছে না। বিষয়টি স্পষ্টকাতর হওয়ায় বিচার-বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন জমা দিতে আরো সময় চাইবে কমিটি।

তদন্ত কমিটির প্রধান জানিয়েছেন, প্রতিবেদন জমা দিতে আরও সময় লাগবে। আসামিরা পালিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ ও ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত সুপারিশমালা প্রণয়নের কথা রয়েছে এ তদন্ত কমিটির।

গত রোববার (২০ নভেম্বর) বিকেলে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এক আদেশে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে ডিএমপি। এ কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে ডিএমপি কমিশনারের কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) তদন্ত কমিটির সভাপতি ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, আজ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হচ্ছে না। তদন্ত শেষ করতে আরও সময় লাগবে।

কমিটি গঠনের ডিএমপি কমিশনারের আদেশে বলা হয়, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পুলিশের চোখে-মুখে স্প্রে ছিটিয়ে দীপন হত্যা মামলার দুই সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি পালানোর ঘটনায় ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে- ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারকে (ক্রাইম অ্যান্ড অপস)। অপর সদস্যরা হলেন- ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশন্স), যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি), উপপুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-লালবাগ), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিআরও)।

রোববার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুই জঙ্গিকে মামলায় আদালতে হাজির করা হয়। হাজিরা শেষে পুলিশ সদস্যরা তাদের নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় দুই জঙ্গি সদস্য পুলিশের চোখে-মুখে স্প্রে করলে তারা অপ্রস্তুত হয়ে যান। এই ফাঁকে ওই দুই জঙ্গি পালিয়ে যায়। এ দুই জঙ্গি দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, জঙ্গি ছিনতাইয়ের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন আনসার আল ইসলামের প্রধান সমন্বয়ক মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া। তার অনুমতিতে এ ছিনতাই অপারেশন পরিচালনা করেন সংগঠনের সামরিক শাখার প্রধান মশিউর রহমান ওরফে আইমান।

গ্রেপ্তার থাকা জঙ্গি আরাফাত ও সবুরকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টরা আরও জানায়, কনডেম সেলে থাকা ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি আসামিরা প্রায় মোবাইলফোনে যোগযোগ করতেন। কারাগারে বসেই পরিকল্পনা হয় আসামি ছিনতাইয়ের।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২২
পিএম/এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।