ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নতুন বাজারে পুরোনো পোশাক কিনতে ভিড়

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২২
নতুন বাজারে পুরোনো পোশাক কিনতে ভিড়

ভোলা: ভোলা শহরের নতুন বাজারে পুরাতন কাপড়ই যেন নিম্নবৃত্তদের ভরসা। শীতের পোশাক কিনতে সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা।

মার্কেটের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম দাম হওয়ায় সেখানে স্বাচ্ছন্দ্যে পোশাক কিনতে পারেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের এক শ্রেণীর ক্রেতা।

সাধ-সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পোশাক কিনতে সন্ধার পর থেকে খোলা বাজারের   পুরাতন পোশাকের দোকানগুলোতে ক্রেতা জমতে থাকেন। তবে এখনও পুরোপুরি শীত জেঁকে না বসায় ক্রেতাদের সমাগম কিছুটা কম বলছেন বিক্রেতারা।

অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, বিগত বছরের তুলনায় খোলা বাজারের এসব পণ্যের দাম বেশি।

জানা গেছে, বিদেশ থেকে আসা এসব শীতের পোশাক চট্রগ্রাম থেকে সংগ্রহ করে ভোলায় আনেন ব্যবসায়ীরা। সেগুলো বস্তা হিসেবে কিনতে হয় ব্যবসায়ীদের। প্রতিটি বস্তায় অন্তত ১০০টি পোশাক থাকে। এসব পোশাকের মধ্যে থাকে ছোয়েটার, কোর্ট, গেঞ্জি, জ্যাকেট, ট্রাকসুট, ট্রাউজার, বেবি সুট, মিকসার গেঞ্জি, বেলবেটসহ নারী-পুরুষ ও শিশুদের রকমারি পোশাক। আর এগুলোর মধ্যে শীতের পোশাকই সবচেয়ে বেশি থাকে।

শহরের নতুর বাজার কবি মোজাম্মেল হক টাউন হল চত্বরে বসছে পুরাতন পোশাকের এসব দোকান। সেখানে আকার ও প্রকারভেদে গড়ে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে এক হাজার টাকারও পোশাক পাওয়া যায়।

পুরাতন পোশাকের এসব দোকানের পাশেই রয়েছে টেইলারিং ও আয়রন করার ব্যবস্থা। পোশাক কিনে নিয়ে ক্রেতারা তাদের প্রয়োজন মতো পোশাক মাপ করিয়ে নিয়ে আয়রন করতে পারছেন। সবকিছুর পরে সেগুলো দেখলে বোঝাই যায় না যে পুরোনো কিছুকে এমন চকমকে বানানো হয়েছে।

নবীপুর থেকে পুরাতন পোশাক কিনতে আসা ক্রেতা আব্বাস বলেন, নিজের ও পরিবারের জন্য কিছু শীতের পোশাক কিনতে এসেছি। এসব পোশাক মার্কেট থেকে কিনতে ৩-৪ হাজার টাকা লাগতো। কিন্তু অতো দাম দিয়ে কেনার সামর্থ নেই। তাই খোলা বাজারের এসব পোশাক কিনতে এসেছি।

হারুন নামে আরেক ক্রেতা বলেন, শীত পড়তে শুরু করেছে। তাই আগে থেকেই শীতের পোশাক কিনছি। তবে গত বছরের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি।

পরিবারের তিন সদস্যের জন্য শীতের পোশাক কিনতে এসেছেন কালিবাড়ি রোড এলাকার বাসিন্দা নিপা রানী। তিনি বলেন, মার্কেট থেকে কেনার সাধ্য নেই। তাই কম দামের পোশাক কিনতে এসেছি। এখানে মোটামুটি ভালো মানের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে।

আরেক ক্রেতা সিরাজ বলেন, নিত্যপন্যের দাম যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে এমনিতেই আমরা কোনঠাসা, তার মধ্যে আবার পোশাক! যেখানে কম দামে কিনতে পারবো সেখান থেকেই কিনবো। তাই খোলা বাজারে পুরাতন পোশাক কিনতে এসেছি।

বিক্রেতা বাপ্পী, সুমন ও সবুজ বলেন, শীত এখনও তেমন পড়েনি। তাই ক্রেতা সংখ্যা ও বেচা-কেনা কম। শীত বাড়লে বেচা-কেনা আরও বাড়বে। তবে এবার পাইকারি বাজারে তৈরি পোশাকের দাম কিছুটা বেশি থাকায় আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

গত বছর এক বস্তা কাপড়ের দাম ছিল ২২ হাজার টাকা। সেইটা এবার বেড়ে হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এখন কেনা-বেচা কিছুটা কম হচ্ছে। আশা করছি শীত বাড়লে বিক্রি আরও বেড়ে যাবে। তখন ক্রেতাদেন আরও চাপ হবে।

ভোলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিনিয়র অবজারভার মাহবুবুর রহমান বলেন, শীতের তীব্রতা আস্তে আস্তে বাড়ছে। বৃহস্পতিবার দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আগামী মাস থেকে তাপমাত্রা আরও কমবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।