দিনাজপুর: দিনাজপুরের বালুয়াডাঙ্গা থেকে ছিনতাইকৃত নয় লাখ ৯০ হাজার টাকার মধ্যে সাত লাখ টাকাসহ আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত তিনটি মোটরসাইকেল ও অন্যান্য জিনিসপত্র জব্দ করা হয়েছে।
রোববার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের হল রুমে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়। এ ঘটনায় আরও দুই আসামি পলাতক রয়েছেন।
লিখিত বক্তব্যে দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ্ ইফতেখার আহমেদ বলেন, গত ২৪ নভেম্বর বিরল উপজেলার ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের একটি এজেন্ট ব্যাংক থেকে গ্রাহকদের নয় লাখ ৯০ হাজার টাকা দিনাজপুর ইসলামী ব্যাংক শাখায় জমা দিতে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন মো. সাইদুর রহমন। টাকার ব্যাগ ছিল তার কাছে আর মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন নূর আলম নামে এক ব্যক্তি। পথে দিনাজপুর শহরের বালুয়াডাঙ্গা এলাকার অন্ধ হাফেজের মোড়ে আট-১০ জন তাদের পিটিয়ে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে অভিযান চালিয়ে উপশহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচজন ও বিরামপুর উপজেলার আবাসিক হোটেল থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- দিনাজপুর পৌর এলাকার উপশহর ৭ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা মৃত জুলফিকার আলীর ছেলে সজিব আলী বাবু (২৭), ৫ নং ব্লকের মৃত আবুল কালামের ছেলে শাখাওয়াত হোসেন অর্ণব (৩০), ৩ নং ব্লকের মৃত মোকাররম হোসেনের ছেলে নাদিম মাহমুদ রাজ, ৩ নং ব্লকের নুর কুতুবুল আলমের ছেলে ফজলে রাব্বী (২৫), ৫ নং ব্লকের রফিকুল ইসলামের ছেলে তরিফুল ইসলাম কনক (৩০), ৬ নং ব্লকের হাবুল সরদারের ছেলে দাবাতুল ইসলাম উজ্জ্বল (৩৭), পুলহাট বাহারপাড়া এলাকার সামিনুল ইসলামের ছেলে মাইনুল ইসলাম মিঠুন (৩০) এবং শহরের সুইহারী খালপাড়ার সামছুল আলমের ছেলে রবিউল ইসলাম সুমন (৩২)।
এ ঘটনায় গফুর ও মিরাজ নামে আরও দুই আসামি পলাতক। এর আগে শনিবার (২৬ নভেম্বর) আসামি মাইনুল ইসলাম মিঠুনকে আদালতে সোপর্দ করা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।
আসামি মিঠুনের নামে থানায় আরও ১১টি ও দাবাতুল ইসলামের নামে আরও পাঁচটি মামলা রয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্য মতে উজ্জ্বলের বাড়ির মাটির নিচে ও শোবার ঘরের আলমিরা থেকে মোট সাত লাখ ২০০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া আসামিদের কাছ থেকে চাপাতি, মোটরসাইকেলের চাবি, জামাকাপড় ও ছিনতাইয়ের টাকায় কেনা মোবাইল ফোন, জুতা, ব্যাগসহ অন্যান্য জিনিসপত্র জব্দ করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আসলাম উদ্দিন, জিন্নাহ আল মামুন (সদর সার্কেল), কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারভীরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিং শেষে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২২
এসআই