হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় চলতি শীত মৌসুমে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে শিমসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা হয়েছে। জমিগুলো থেকে প্রায় ১২০ কোটি টাকার সবজি উৎপাদনের আশা করছেন চাষিরা।
বাহুবলের সবচেয়ে বড় কাঁচামালের হাট দ্বিগাম্বর বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতকালীন অন্যান্য সবজির পাশাপাশি দেশি জাতের শিমের প্রচুর সরবরাহ। প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। অন্যান্য সবজির দাম আরও বেশি। গড়ে ৪০ টাকা কেজি হিসেবে ধরলেও ৩০ হাজার মেট্রিক সবজির দাম পড়ে অন্তত ১২০ কোটি টাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার পুটিজুরী, যাদবপুর, মিড়ের পাড়া, লামাপুটিজুরী, আব্দানারায়ন, রাজসূরত, ভবানীপুর, কল্যাণপুর ও বাহুবলের শেষ সীমানা বড়চর গ্রামসহ পুরো উপজেলায় সবজির চাষ হয়েছে। শিমের পাশাপাশি এসব স্থানে কমবেশি চাষ হয়েছে লাল শাক, পালং শাক, লাউ ও বরবটিসহ অন্যান্য শাক-সবজি। এখানকার উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হচ্ছে।
প্রতিদিন সকালে দিগাম্বর বাজারে সবজির হাট বসে। বিভিন্ন শাকসব্জি খুচরা ও পাইকারি বিক্রি হয়। বিকেলে সেখানে চাই ফেলে সবজি বিক্রি করেন চাষিরা। গাড়ি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে এখান থেকে সবজি পাঠানো হয়।
খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় চাষের জমির পরিমাণ বেশি হওয়ায় আগাম শিম বাজারে আসতে শুরু হয়েছে। নতুন সবজি হিসেবে এখন শিমের বেশ চাহিদা। পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে অন্যান্য সবজিও।
পাইকারি বিক্রেতা সানু মিয়া বলেন, চাষিদের ক্ষেত থেকে নশিমসহ বিভিন্ন সবজি কিনে ট্রাকে করে ঢাকা ও সিলেটসহ দেশের বড় বড় পাইকারি বাজারে পাঠাই। সেখান থেকে অনলাইন ব্যাংকিয়ের মাধ্যমে টাকার লেনদেন হয়। এতে আমার পাঁচ সদস্যের পরিবার চলে।
বাহুবল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল জানান, গত বছর বাহুবলে সবজি চাষ হয়েছিল ১ হাজার হেক্টর জমিতে। এবার আরও ৫শ’ হেক্টর বেড়ে চাষ হয়েছে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জমি থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন সবজি উৎপাদন হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২২
জেএইচ