ঢাকা, বুধবার, ৬ কার্তিক ১৪৩২, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

মুক্তমত

অনভিজ্ঞতা ও পুরনো আনুগত্য—কোন পরিণতির পথে দেশ!

সুজায়েত শামীম সুমন |
আপডেট: ১৬:০৫, অক্টোবর ২২, ২০২৫
অনভিজ্ঞতা ও পুরনো আনুগত্য—কোন পরিণতির পথে দেশ! প্রতীকী

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সের আমদানি অংশে আগুন লাগা, ২১ অক্টোবর দুপুর ১২ টায় মতিঝিলে মেট্রোরেল স্টেশনের পাশের ভবনে আগুন এবং চলমান পরিস্থিতির বাস্তবতায় সরকারের যেন হঠাৎ করে মনে হলো সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। অথচ ইতোপূর্বে সরকার পক্ষ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বলেছে, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হচ্ছে এবং সর্বোচ্চ সতর্ক সরকার।

এমন পরিস্থিতি তৈরির পেছনে কিছু প্রশ্ন জন্ম দিলেও একটি সন্দেহ উঁকি দিতে শুরু করেছে, যা নিয়ে এই লেখার শেষাংশে ইঙ্গিত দেওয়ার চেষ্টা করেছি।  যদিও গভীর অনুসন্ধান, তথ্য প্রমাণ ও বিশ্লেষণ ছাড়া বিষয়টি নিয়ে অনুমান নির্ভর উপস্থাপন অনুচিত। আবার যা কিছু ঘটছে, কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়া পতিত আওয়ামী সরকারের ষড়যন্ত্র হিসেবে দায় চাপিয়ে দেওয়া সঙ্গত নয়। তবে তারা যেকোন উপায় ফিরে আসতে সর্বোচ্চ চেষ্টা, পরিকল্পনা এবং হুংকার যে দিচ্ছে, সেটি তো অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে যেটাই হোক না কেন, চলমান পরিস্থিতির কোনো কিছুর দায় এড়াতে পারেন না অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

এ ধরনের পরিস্থিতির পেছনে সরকারের প্রধানতম ভুল কী, তা বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। সে প্রসঙ্গে আলোচনার আগে আমরা একটু ঘুরে আসি রাজা-বাদশাহদের আমলে শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন হলে কী হতো তৎকালীন শাসকের ভূমিকা।

প্রায় সব রাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায়, বিশেষত যখন বিদ্রোহের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা হতো বা শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন আসতো; তখন নতুন শাসক পূর্ববর্তী শাসকের অনুগত ও ঘনিষ্ঠজনদের সরিয়ে দিতেন, নির্বাসন দিতেন বা হত্যা করতেন।

এর কারণ ছিল প্রধানত তিনটি—

রাজনৈতিক নিরাপত্তা: পুরনো অনুগতরা নতুন শাসকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে পারে।

প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ: রাজকর্মচারীরা রাজ্যের প্রকৃত ক্ষমতার ধারক, তারা যদি পুরনো রাজবংশের প্রতি অনুগত থাকে নতুন শাসক কার্যকর শাসন করতে পারেন না।

মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব: ক্ষমতা দখলের পর ভয় ও আনুগত্য প্রতিষ্ঠার জন্য ‘দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি’ প্রয়োগ করা হতো।

ইতিহাসের পাতায় ফিরে তাকালে দেখা যায়, রাজা-বাদশা কিংবা সুলতান— যে-ই ক্ষমতার সিংহাসনে উঠেছেন, তার প্রথম কাজ ছিল নিজের অবস্থান সুরক্ষিত করা। সেই সুরক্ষা কেবল বাহ্যিক শত্রুর বিরুদ্ধে নয়, বরং অভ্যন্তরীণ শত্রুর বিরুদ্ধেও। কারণ, ইতিহাস বারবার প্রমাণ করেছে যে, শাসকের সবচেয়ে বড় হুমকি প্রায়শই আসে তার কাছের মানুষদের দিক থেকে বা পতিত শাসকের অনুসারীদের কাছ থেকে।

মোঘল সাম্রাজ্যের সময় থেকেই ক্ষমতা বদলের সঙ্গে সঙ্গে পুরনো শাসকের অনুগতদের ওপর নেমে আসত নির্মম শাস্তি। ইতিহাসবিদ স্যার যদুনাথ সরকার লিখেছেন, “মোঘল আমলে রাজদণ্ডের চেয়ে ভয়ংকর ছিল রাজদণ্ডের আশেপাশের চক্রান্ত। ” (Jadunath Sarkar, History of Aurangzib, Vol. 2, 1924)

ক্ষমতা দখলের পর নতুন সম্রাটরা সাধারণত পুরনো শাসকের অনুগত আমির, উজির, সেনাপতিসহ যেখানে যাদের নিয়ে সন্দেহ থাকতো তাদের সরিয়ে দিতেন। কেউ বন্দি হতেন, কেউ নির্বাসিত, কেউবা প্রাণ হারাতেন।

আকবরের মৃত্যুর পর যুবরাজ সেলিম ওরফে জাহাঙ্গীর ক্ষমতায় এলে আকবরের অনেক ঘনিষ্ঠ সেনাপতি ও দরবারিকে সন্দেহের চোখে দেখা হতো। Akbar the Great Mogul, 1917 নামক বইতে ভি.এ. স্মিথ এক জায়গায় উল্লেখ করেন, নতুন সম্রাটের প্রথম কাজ ছিল পুরনো আনুগত্যের শেকড় উপড়ে ফেলা, যাতে সম্ভাব্য বিদ্রোহ বা ষড়যন্ত্রের ঝুঁকি না থাকে।

আওরঙ্গজেবের ক্ষমতা দখল ছিল এই প্রবণতার সবচেয়ে নির্মম দৃষ্টান্ত। তিনি নিজের পিতা শাহজাহানকে বন্দি করেন এবং ভাই দারাশিকোকে মৃত্যুদণ্ড দেন। শাহজাহানের অনুগত সৈন্য, মন্ত্রী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হত্যা অথবা রাজদরবার থেকে নির্বাসন দেওয়া হয়। ইতিহাসবিদ উইলিয়াম আর্ভিন তার লেখা William Irvine, The Later Mughals, 1922 বইতে এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন।

Ishwari Prasad, A Short History of Muslim Rule in India, 1965 বইতে উল্লেখ আছে, আলাউদ্দিন খিলজি যখন জালালুদ্দিন খিলজিকে হত্যা করে সিংহাসনে বসেন, তখন তার প্রথম কাজ ছিল পুরনো নবাব পরিবারের সব সদস্যকে নিশ্চিহ্ন করা।

বাংলার নবাবি আমলেও ক্ষমতার এই নির্মম ধারা দেখা যায়। সিরাজউদ্দৌলার পতনের পর মীর জাফর ক্ষমতায় আসেন এবং প্রথমেই সিরাজের ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও সেনাপতিদের ওপর অভিযান চালান। মোহনলাল, খোয়াজা হেদায়েতুল্লাহ ও মীর মদনের পরিবারগুলো নিপীড়নের শিকার হয়। পরে মীর কাসিম যখন মীর জাফরকে ক্ষমতাচ্যুত করেন, তখন একইভাবে জাফরের অনুগতদের ধ্বংস করা হয়। (S.C. Hill, Bengal in 1756-1757, 1905)

এই সব উদাহরণ প্রমাণ করে, মধ্যযুগীয় শাসনব্যবস্থায় ক্ষমতার স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে ‘পরিষ্কারকরণ’ ছিল এক অপরিহার্য কৌশল। নতুন শাসকরা জানতেন; রাজসভায় পুরনো আনুগত্য বেঁচে থাকলে তা একদিন না একদিন বিপর্যয় ডেকে আনবেই। তাই ক্ষমতার পালাবদল মানেই ছিল রক্তের ছায়া, সন্দেহের রাজনীতি এবং দমননীতি।

ইতিহাসবিদ অরুণ ভট্টাচার্য এই বাস্তবতাকে সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন: “Power transition in medieval India was rarely smooth; it was almost ritualistically violent.” (Power and Intrigue in Medieval India, 2003) অর্থাৎ, সিংহাসনের উত্তরাধিকার ছিল কেবল রাজনৈতিক নয়, বরং জীবন-মৃত্যুর হিসাব। ক্ষমতা বদলের সঙ্গে সঙ্গেই বদলে যেত রাজ্যের ভাগ্য এবং আনুগত্য হারানো মানে ছিল নিশ্চিত বিনাশ। এবং এসব ঘটনা শুধু ভারতীয় উপমহাদেশে নয়; ইউরোপ, মিশর, চীন সব জায়গাতেই ঘটেছে। যেমন অটোমান সাম্রাজ্যে (তুরস্ক) নতুন সুলতান ক্ষমতায় এলে ভাইদের ‘নির্মূল’ করার প্রথা ছিল।

ইংল্যান্ডে রাজা হেনরি সপ্তম `Wars of the Roses' এর পর প্রতিদ্বন্দ্বী বংশের লোকদের হত্যা করেন। সুতরাং আমরা ইতিহাস বিশ্লেষণ করে সারসংক্ষেপ হিসেবে এটা বলতে পারি যে, ক্ষমতা দখলের পর নতুন শাসকের জন্য এটি প্রায়শই অনিবার্য হয়ে দাঁড়ায় যে তিনি পূর্ববর্তী শাসকের ঘনিষ্ঠজনদের হয় ‘নির্মূল’ করবেন অথবা এমনভাবে বশীভূত করবেন যাতে তারা ভবিষ্যতে কোনো বিপদ সৃষ্টি করতে না পারে। ইতিহাসের ধারায় এই নির্মমতা ছিল মূলত রাজনৈতিক বেঁচে থাকার কৌশল। Niccolò Machiavelli এর 'The Prince' গ্রন্থের মূল নীতিতে তিনি নতুন রাজকুমারকে রাজ্য টিকিয়ে রাখার কৌশল হিসাবে এ ধরনের কথা উল্লেখ করেন।

এখন সেই মধ্যযুগ বা রাজা-বাদশাহর আমল নেই। রাজ্য হয়েছে রাষ্ট্র। প্রজা হয়েছে নাগরিক, রাষ্ট্রের মালিক। আধুনিক সমাজ ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় তখনকার আমলের মতো সেই বর্বরতা অনুসরণ অন্তত করা হয় না। তবে অমানবিকতার দৃষ্টান্ত একেবারে নেই, তা নয়। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো অতীতের রাজা বাদশাহ বা শাসকেরা যে বিচক্ষণতার পরিচয় দিতেন, আমরা সেটা দিতে পারছি না। রাষ্ট্র পরিচালনায় যে অভিজ্ঞতা, বিচক্ষণতা এবং দূরদৃষ্টি প্রয়োজন সেটির ঘাটতি যে যথেষ্ট, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের ভাবনা চিন্তায় কোনো ধরনের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নেই।

খুবই সহজ ভাবনা—যেকোন রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় পটপরিবর্তন হলে পূর্ববর্তী শাসকের অনুসারী ও ঘনিষ্ঠদের চিহ্নিত করা, নজরদারিতে রাখা বা তাদের লঘু দায়িত্ব দিয়ে রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নানা বিষয় থেকে দূরে রাখার পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

এখন প্রশ্ন হলো—এই কাজ কতটুকু করেছে অধ্যাপক ইউনূসের সরকার। সচিবালয় থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসনে, সরকারের প্রতিটি স্তরে প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত যারা আছেন তাদের কারা কারা বিগত সরকারের প্রভাব দেখিয়ে চলতেন, অবৈধ অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন এবং এখনও সরকারের নানা দায়িত্বে আছেন, তা নাম ধরে ধরে বলে দেওয়া সম্ভব। বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ে যারা সাংবাদিকতা করেন তারা প্রত্যেকে ওয়াকিবহাল।

সরকার যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে রদবদল করেছে। কিন্তু ঘুরে ফিরে বিগত সরকারের অনুসারীরা রয়ে গেছেন। বিশেষ করে তাদের দীর্ঘ শাসনামলে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তারা এখনো স্তরে স্তরে সাজানো। এটি নিয়ে পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু সরকারের টনক নড়েনি।

দেশের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা এনএসআই-তে শতকরা দুই শতাংশ লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না, যারা আওয়ামী শাসনের পূর্বে নিয়োগ পেয়েছেন। পুলিশ প্রশাসনে এখনো খুঁজলে মিলবে হাজার হাজার পুলিশ কর্মকর্তা লঘু দায়িত্ব পালন করছেন বা অনেকেই রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে রয়েছেন, যারা বিগত শাসনামলে পদোন্নতি পাননি, অগুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ছিল তাদের পোস্টিং। পুলিশের মধ্যে থাকা অবহেলিতরা এখনও অনুরূপ পরিস্থিতির মধ্যে আছেন। অপরদিকে এমন অসংখ্য ইন্সপেক্টর আছেন, যাদের বিগত শাসনামলে বাধ্যতামূলক অবসরে দেওয়া হয়েছিল, চাকুরিচ্যুত করা হয়েছিল এবং তারা তাদের ওপর চলা জুলুম ও অন্যায়ের কথা এই সরকারকে জানিয়েছেন, বিস্তারিত ঘটনা উল্লেখ করে তালিকা দিয়েছেন এবং সরকার আশ্বাস দিলেও পুলিশ হেড কোয়ার্টারে তা এখনো ফাইলবন্দি হয়ে আছে। ইউনূস সরকার তাদের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না। কেন নেওয়া হচ্ছে না? কারণ ফাইলটি নিয়ে যারা মুভ করবেন, তারাই তো বিগত সরকারের সুবিধাভোগী পুলিশ কর্মকর্তা—যারা সময়ের বাস্তবতায় নিজেকে বদলে নিয়ে সরকারের আনুগত্য দেখাচ্ছেন। প্রকৃত অর্থে তারা সরকারকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন এবং আগামীতে আরও ভয়াবহ কিছু ঘটলে অবাক হবার কিছু থাকবে না।

পরিশেষে একটি বিষয় পরিষ্কার করা প্রয়োজন। এই লেখা বা বিশ্লেষণের উদ্দেশ্য এমন নয় যে ‘লোম বাছতে কম্বল উজাড়’ করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করা। কিন্তু সরকার যদি মনে করে চলমান পরিস্থিতির ধারাবাহিকতা রোধ করবে, আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে সব ধরনের ষড়যন্ত্র ঠেকিয়ে দেবে, তাহলে সতর্ক পদক্ষেপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত পূর্ববর্তী শাসকের আনুগত্য পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিহ্নিত করা। প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া। গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতা খুঁজে বের করা এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া।

মোট কথা মাঠ পর্যায়ে থাকা সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের দায়বদ্ধতার জায়গা পরিষ্কারভাবে ব্রিফ করতে হবে এবং এর ব্যত্যয় ঘটলে পরিণতি কী হতে পারে, সেটিও স্পষ্টভাবে প্রত্যেককে স্মরণ করিয়ে দিতে হবে। চাকরি বিধিমালা কেবল কিতাবে থাকলে হবে না, সেটির প্রয়োগ ঘটাতে হবে শক্ত হাতে।

আর যদি সরকার চিন্তা করে এভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে সেটি নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগবে এবং খুবই স্বাভাবিকভাবে নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়া ছাড়া কোনো পথ থাকবে না বা ফ্যাসিস্ট সরকারের ওপর সব ধরণের দায় চাপিয়ে দিয়ে নিজেদের ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করা সম্ভব; তাহলে চরম ভুল করবে।

নিশ্চয়ই সরকারের মোটিভ তা নয় বা বিচ্ছিন্ন বিচ্ছিন্ন অনুমান সত্য না হোক—এমনটাই প্রত্যাশা ও বিশ্বাস।

সুজায়েত শামীম সুমন: অপরাধ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।