ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

ফের সিঙ্গাপুরে খালেদা

মুহাম্মদ আলী মানিক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৩
ফের সিঙ্গাপুরে খালেদা

নিউইয়র্ক: এর আগেও সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিতে গিয়ে খালেদা জিয়া সুস্থ হয়েছিলেন কীনা জানি না। তবে দেশের পরিবেশকে অসুস্থ করে তুলেছিলেন প্রতিবারই! তাই এবারও তার সফরকে ঘিরে সেই আশঙ্কাই করছেন সচেতন মহল।



দেশের পরিবেশকে নষ্ট করার কিছু আলামত দেশবাসী এরইমধ্যে অবলোকন করেছে। এর আগের সিঙ্গাপুর সফরের ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেশবাসী দেখেছিল, হেফাজতিদের আত্বপ্রকাশ ও তাণ্ডবলীলা।

সেইবার সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে খালেদা জিয়া আলটিমেটাম দিয়েছিলেন সরকার পতনের। আর এবার সিঙ্গাপুর যাওয়ার আগেই আলটিমেটাম দিয়ে গেছেন সরকার হটানোর। হয়তো সিঙ্গাপুর থেকে ফিরেই জামায়াত-হেফাজতিদের মাঠে নামিয়ে তিনি স্লোগান দেবেন ‘বাঁচলে গাজী, মরলে শহীদ’।

খালেদা জিয়া ভাবছেন, আওয়ামী লীগ যেভাবে তার ‘আজিজ-মার্কা’ নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে দুর্বার গণ-আন্দোলন গড়ে তুলেছিল, ঠিক একইভাবে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে মাঠে আর্মি নামলে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাবেন।

কিন্তু একটি সফল গণ-আন্দোলন করতে যে ধরনের ইস্যু ও রসদ দরকার। দুঃখের বিষয় ম্যাডামের কাছে তার কিছুই নেই। আছে শুধু ফাঁকা আওয়াজ। গলাবাজি আর জামায়াত-শিবিরের ওপর ভর করে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ।

এখানে উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের এই সময় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সর্বাত্মক আন্দোলনে ‘বিএনপি সরকার’ ছিলো কোণঠাসা, রাস্তা-ঘাট সব ছিলো ১৪ দলের দখলে। কিন্তু এবার কি তার কোনো আলামত দেখতে পাচ্ছি? মোটেই না, দুরবিন দিয়েও রাস্তা-ঘাটে বিএনপির কোনো কর্মীর আনাগোনা দেখা যাচ্ছে না।

যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে জামায়াত-শিবির কর্মীদের পলায়নপর ঝটিকা মিছিল শুধু দেখা যাচ্ছে। আর মাঝে মাঝে খালেদা জিয়া দেশজুড়ে যেসব জনসভা করছেন তা ৬৫ শতাংশ জামায়াত-শিবিরের লোকদের মাধ্যমেই সম্পন্ন হচ্ছে। আর তাইতো বিএনপির সর্বশেষ সিলেটের জনসভায় দেখা গেল, মঞ্চের সামনের পুরো অংশই শিবিরের দখলে। খালেদা জিয়াকে সেইদিন অনেকটা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমিরের মতই লাগছিল। এরপরেও লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে বিএনপির ‘গলাবাজ’ নেতারা অনবরত হুঙ্কার দিয়ে যাচ্ছেন সরকার পতনের।

পয়সা খরচ করে টকশো আর প্রেসক্লাবেই তাদের নিয়মিত দেখা যাচ্ছে। আর ‘গাছে কাঁঠাল, গোফে তেল’ দেওয়ার মত তারা দিবাস্বপ্ন দেখছেন, ২৪ অক্টোবরের পর জনগণ তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে।

কিন্তু খালেদা জিয়ার বিদেশি প্রভুরা ঠিকই বুঝতে পেরেছেন, বিএনপির দৌড় পার্টির অফিস পর্যন্ত। আর জামায়াতিদের দৌড় মোল্লাদের মত মসজিদ পর্যন্ত।

নাশকতার মাধ্যমে দেশের পরিবেশ অশান্ত করে বর্তমান সরকারের পতন ঘটানো ছাড়া বিএনপি-জামায়াতের সামনে হয়তো আর কোনো পথ খোলা নেই ভেবেই প্রভুদের ডাকে খালেদা জিয়া আবারও সিঙ্গাপুর গেলেন। হয়তো এসেই শুরু করে দেবেন হত্যা-ধংসের তাণ্ডবলীলা!

কিন্তু কোনো লাভ নেই ম্যাডাম। বিপুল ভোটে নির্বাচিত বর্তমান সরকার। দেশপ্রেমিক জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে প্রস্তুত সব আন্দোলনের দাঁত ভাঙা জবাব দিতে। তাই এখনো সময় আছে। ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে আগামী নির্বাচনে অংশ নিয়ে দেশ আর জনগণের সেবায় এগিয়ে আসুন।

লেখক: ডা. মুহাম্মদ আলী মানিক, সহ-সভাপতি, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৩
এএইচএস/আরকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।