দীর্ঘ তিন মাস সন্ত্রাস-নৈরাজ্য আর পেট্টোল বোমায় মানুষের রক্ত নিয়ে হোলি খেলার ভয় জয় করে দেশ শান্তির পথে ফিরছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের সাহসী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপে অপশক্তি পরাজিত হয়েছে, সেই সাথে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডও অনেকটাই স্তিমিত হয়ে পড়েছে।
যারা পেট্রোলবোমা ও ককটেল মেরে দেশকে অস্থিতিশীল করে সরকার উৎখাত করতে চেয়েছিল, প্রশাসন ও জনপ্রতিরোধে ক্লান্ত হয়ে তারা থেমে গেছে। দেশে এখন সহিংসতা কমে এসেছে। এতদিনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডই প্রমাণ করে বিএনপি-জামায়াত রাজনীতির নামে সন্ত্রাস করে, বোমাবাজি করে মানুষ হত্যা করে। কেননা, তারা হরতাল-অবরোধের ডাক দিলেই দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু হয়।
কয়েকদিন ধরেই ভাবছিলাম এ বিষয়ে কিছু লিখবো। কিন্তু সর্বদা রাজনীতির মাঠে জনগণের সাথে ব্যস্ত থাকার কারণে সময় করে উঠতে পারছিলাম না। ব্যস্ততার মাঝেও আজ একটু সময় করে হাতে কলম ধরলাম।
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার আগে রাষ্ট্র ও শাসন সম্পর্কে রাষ্ট্রচিন্তাবিদদের কিছু কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। মধ্যযুগের রাষ্ট্র ও শাসন সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। ওই সময় রাষ্ট্রকে ধর্ম, নৈতিকতা, ঐশ্বরিক আইন বা প্রাকৃতিক আইনের অধীন বলে মনে করা হতো। ফলে রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থায় এক নৈরাজ্যকর তথা বর্বর অবস্থা বিরাজ করছিল। কিন্তু আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় রাষ্ট্রই জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য এবং সেদিক থেকে তা অন্য কোনো ক্ষমতার অধীন নয়।
মধ্যযুগের নৈরাজ্যকর এই রাষ্ট্রব্যবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বলা যায়- আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার জনক নিকোলো ম্যাকিয়াভেলী রাষ্ট্র ও শাসন সম্পর্কে যে মতবাদ দেন, তাই আমাদের আজকের এই আধুনিক রাষ্ট্রের ভিত্তি। নিকোলো ম্যাকিয়াভেলীর মতে, স্বার্থপরতা ও কলহপ্রিয়তা মানুষের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। সুতরাং সুযোগ পেলেই মানুষ অন্যায় কর্মে লিপ্ত হতে চায়। লোভ-লালসার কারণে সে চায় গোটা সমাজকে গ্রাস করতে। মানুষের এই সহজাত স্বভাবে সমাজে অবিরাম কলহ লেগেই থাকে। আইনে সবল হস্ত দ্বারা ব্যাহত না হওয়া পর্যন্ত তারা গোটা সমাজ জীবনকে নৈরাজ্যিক অবস্থায় পরিণত করতে থাকে। অর্থাৎ তার থেকে সবলতর কোনো শক্তির দ্বারা বাধ্য না হলে সে ভাল কিছু করতে চায় না।
রাষ্ট্র শাসন সম্পর্কে তিনি বলেন, মানব প্রকৃতির এই ধারণার উপর ভিত্তি করে শাসক অগ্রসর না হলে আইন প্রণয়ন করা বা সাফল্যের সঙ্গে শাসন করা মোটেই সম্ভব নয়। শাসককে আরো একটি বিষয় খেয়াল করতে হবে যে, সে যেন তার শাসনামলে মানুষের জীবন ও সম্পদের সর্বাধিক নিরাপত্তা বিধান করতে পারে। এর জন্য সে যে কোনো পন্থাই অবলম্বন করুক না কেন, তা সব সময় অধিকাংশ লোকের অকুণ্ঠ সমর্থন লাভ করবে এবং এর ফলে তার শাসনের ভিত্তি আরও দৃঢ় হবে।
এই আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তাবিদ আরো বলেন, যেহেতু মানুষ প্রকৃতগতভাবে দুর্ণীতিপরায়ণ, প্রতারক, লোভী ও হিংসুটে। ফলে সবসময় নৈতিকতা ও ধর্মের পথ অনুসরণ করে রাষ্ট্র কোনো দিন উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারবে না। প্রতি পদক্ষেপে বাধাগ্রস্ত হবে। ফলে এটা আদৌ চিন্তা না করে, রাষ্ট্র তার লক্ষ্য অর্জনের জন্য যা কিছু অনুকূল তাই করে যাবে। ম্যাকিয়াভেলীর মতে- End justifies the means, not means the end.
এ প্রসঙ্গে ম্যাকিয়াভেলী তার The Prince গ্রন্থে উল্লেখ করেন, একজন শাসককে একমাত্র রাষ্ট্রের অস্তিত্ব রক্ষার প্রতি নজর রাখতে হবে। সেই কারণে গৃহীত যে কোনো ব্যবস্থাই সম্মানিত বলে বিবেচিত হবে এবং সাধারণভাবে তা সকলের সমর্থন লাভ করবে। এ প্রসঙ্গে ডানিং বলেন- শাসককে সব সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যে, কী করলে তার রাষ্ট্র ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত হবে। তাঁর কাছে রাষ্ট্রের যুক্তিই বড়। ম্যাকিয়াভেলীর Double standard of morality অর্থাৎ ব্যক্তি জীবনে যে কাজ অন্যায়, সে কাজ যদি রাষ্ট্রের পক্ষে অনুকূল হয় তবে শাসকের পক্ষে তা করা অন্যায় হবে না।
রাষ্ট্রচিন্তাবিদ ও দার্শনিকদের উল্লেখিত চিন্তাভাবনাগুলো আমরা যদি বাস্তবক্ষেত্রে একটু মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করি, তবে বাংলাদেশে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে তখনকার উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং চলতি বছরের ৫ জানুয়ারির পর থেকে এই দীর্ঘ তিনমাসের পরিস্থিতি আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্যে একটা বিরাট যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপের ফলেই আজ সমাজে শান্তি ফিরে এসেছে।
এবার আমরা যদি একটু পেছনে ফিরে যাই- তবে ৫ জানুয়ারির আগে বাংলাদেশে কী রকম পরিস্থিতি ছিল, মানুষের জানমাল নিয়ে কী ধরনের খেলায় মেতে উঠেছিল বিএনপি-জামায়াত চক্র। আর ৫ জানুয়ারির নির্বাচন যদি না হতো তাহলেইবা দেশের পরিস্থিতি কী হতে পারতো, এসব কিছু কী আমরা একটু ভেবে দেখেছি?
আমরা সবাই দেখেছি, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে পরে এবং চলতি বছরের এই তিন মাসে আন্দোলনের নামে মানুষের জানমাল নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের রক্তের হোলি খেলায় মেতে উঠার দৃশ্য। কীভাবে শত শত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে এবং ককটেল-পেট্টোল বোমা মেরে হতাহত করা হয়েছে।
নির্বাচনের আগে পরে এবং চলতি বছরে বিএনপি জামায়াতের তাণ্ডবে ১৭ জন পুলিশ, ২ জন বিজিবি সদস্য এবং ২ জন সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যসহ নিরাপরাধ শতাধিক মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা করেছে। গেল ৬ জানুয়ারি থেকে বিরোধী জোটের লাগাতর অবরোধ ও হরতাল শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত শুধু পেট্রোল বোমার আগুনে পুড়ে ৭৮জন মারা গেছেন । এক্ষেত্রে আমাদের শিশুরাও রেহাই পায়নি।
এছাড়া পুলিশের দেয়া তথ্য মতে, বিশৃঙ্খলাকারীরা গত ৩ মাসেই প্রায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যের উপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে। এদের মধ্যে ৩শ জন ভবিষ্যতে আর কোনো কাজ করতে পারবে না।
এই চিত্র যেন ৭১ এর হায়েনা বাহিনীর তাণ্ডবের সেই দিনগুলোর কথাই আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়।
এই সময় যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হতেন তাহলে দেশের অবস্থা কী হতে পারতো, তা কী আমরা একটু ভেবে দেখেছি? হয়তো আবারো সেই কলঙ্কিত ওয়ান-ইলিভেনের অপশক্তি ফিরে আসতে পারতো। অথবা দেশে এর চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারতো। সাধারণ মানুষের জীবনে নেমে আসতে পারতো অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়েও কঠিনতর পরিস্থিতি।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংবিধান অনুসারে নির্বাচন হবে, আর সেই নির্বাচনে জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতার পালাবদল হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা কী দেখলাম- রাজনীতিতে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে বিএনপি-জামায়াত দেশের পবিত্র সংবিধানকে ছুঁড়ে মারার হুমকি দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে নির্বাচন ঠেকানোর আন্দোলনের নামে হায়েনার মতো দেশে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করলো। এরপরও থেমে থাকেনি, নিজেরা ভুল করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে পুনরায় মধ্যবর্তী নির্বাচন দাবিতে চলতি বছরে আবারো সন্ত্রাস-নৈরাজ্যে মেতে উঠে।
এই কি দেখেছি আমরা, চোখের সামনে এসব! চলন্ত বাসে মারা হলো পেট্রোলবোমা- দাউ দাউ করে জ্বলছে বাস আর মানুষের শরীর। দেখলাম দেশের বিভিন্ন স্থানে দাউ দাউ করে জ্বলছে ট্রেন, অসহায় ভীত-সন্ত্রস্ত যাত্রীদের আকুতি আর জীবন বাঁচানোর প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা।
এসব দেখে, নিজের মনে প্রশ্ন জাগে, কোথায় আছি আমরা? ক্ষমতার জন্য মানুষ এত নির্মম-নৃশংস হতে পারে? ধর্ম তো মানবিকতা, মনুষ্যত্ব আর শান্তির কথা বলে- কিন্তু এরা কারা- যারা ধর্মের নামেই নৃশংসতা চালাচ্ছে- মানুষকে বিভ্রান্ত করছে? তাহলে একবিংশ শতাব্দীতে এসেও আমরা কী সেই আইয়্যামে জাহেলিয়াত তথা মধ্যযুগের বর্বরতায় ফিরে যাচ্ছি?
এসব ঘটনায় নির্যাতিত মানুষদের সমবেদনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘স্বজন হারানোর ব্যথা আমি বুঝি- আপনাদের কষ্টের ভাগীদার আমি নিজেও। ’
যারা রাজনীতি এবং ধর্মের নামে মনুষ্যত্বের অবমাননা করে, হিংসা, ধ্বংস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে, শেখ হাসিনা তাদের রুখে দাঁড়ানোর জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি প্রশ্ন রাখেন যে, রাজনীতি হলো মানবসেবা, জনগণের কল্যাণসাধন- কিন্তু ক্ষমতার লোভে যারা নারী, পুরুষ এবং শিশুর জীবন কেড়ে নেয়- তারা কি মানুষ?
মূলত: এসব ঘটনায় মানুষের সামনে উদ্ভাসিত হলো বিএনপি-জামায়াতের আসল চেহারা। মানুষ প্রকৃত অর্থেই বুঝতে পারছে ধর্মের নামে কত বড় সর্বনাশ করে চলেছে এই ধর্মের লেবাসধারী মৌলবাদী দলগুলো। গণতন্ত্রের নামে নিত্যদিন মানুষ এবং গণতন্ত্রকে হত্যা করে বিএনপি-জামায়াতের দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়ার ঘৃণ্য অপচেষ্টাও মানুষ প্রত্যক্ষ করতে পারছে। আমাদের প্রত্যাশা হলো- প্রকৃত সত্য মানুষের সামনে উপস্থাপিত হোক। মানুষই সিদ্ধান্ত নেবে কোন্ দিকে যাবে তারা। একদিকে গণতন্ত্র, উন্নয়ন, অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র ও সমাজ বিনির্মাণের অঙ্গীকার, অপরদিকে ধ্বংস, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের প্রতি অবিশ্বাস, নারী অধিকার হরণ, রাজনীতিতে সন্ত্রাস-পেট্রোলবোমা-গ্রেনেড আমদানি- মানুষই ঠিক করবে কে গ্রহণযোগ্য আর কে পরিত্যাজ্য।
ঠিকই আমরা দেখলাম- জনগণ প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য প্রতিরোধে সোচ্চার হলো। ওদের বোমা মেরে মানুষ হত্যার আন্দোলনে সাড়া না দিয়ে সরকারের পদক্ষেপকে সমর্থন করলো।
গণতন্ত্রের মানসকণ্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশের গণতন্ত্র ক্রমাগত সম্প্রসারিত হচ্ছে, শত চক্রান্ত সত্ত্বেও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে বলেই বিশ্ব সম্প্রদায়ও বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে। যাঁরা বিতর্ক তুলে গণতন্ত্রের নৌকা ফুটো করতে চান, তারা এক সময় ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবেই।
অন্যদিকে, রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দক্ষতা ও বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন, এর ফলে জাতি এক নিশ্চিত ভবিষ্যৎ থেকে নির্দিষ্ট পথে এগুনোর সুযোগ পেয়েছে। হানাহানি-মারামারি ও সহিংস অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে আজ আবারও দেশে বইতে শুরু করেছে শান্তির সুবাতাস। আর এটা বুঝা যায়- গ্রামবাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে গেলে।
এছাড়া স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে সম্প্রতি সরকার আরো একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর তা হলো- ৩ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে আজ আবারও মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে উন্মুখ হয়ে আছে। এরমাধ্যমে আমরা মাঠ পর্যায়ে জনগণের কাছাকাছি গিয়ে তাদের মনের উচ্ছ্বসিত কথাগুলো জানতে পারছি। তারা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার ভুমিকায় কতটা সন্তুষ্ট। মানুষের একটাই কথা- আমরা শান্তিতে থাকতে চাই। সন্ত্রাস-নৈরাজ্যকে যে কোনো মূল্যে পরাজিত করতে হবে।
এছাড়া শেখ হাসিনার ভূমিকা আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত হয়েছে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘের ‘সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন ভিশনারি অ্যাওয়ার্ড’ এ ভূষিত হয়েছেন তিনি।
উপরের পর্যালোচনা থেকে বলা যায়- অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে বাংলাদেশে গণতন্ত্র বেশ শক্তভিত্তির উপর দাঁড়িয়েছে। সেই সাথে এর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। কেউ ইচ্ছা করলেই এটা সহজে ব্যাহত করতে পারবে না। আর এসব কিছুর পেছনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার ত্যাগ ও অবদানের বিষয়টি কোনো ভাবেই অস্বীকার করার উপায় নেই।
সবশেষে বলতে চাই- গণতান্ত্রিক এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালে আমরা সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করতে পারবো মধ্যম আয়ের একটি দেশ হিসেবে। আর ২০৪১ সালে এই বাংলাদেশ হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা। এ জন্য আসুন চক্রান্তকারীদের সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশ এগিয়ে নিই এবং গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখি। আজ অপশক্তির পরাজয় হয়েছে, সেই সাথে গণতন্ত্রকামী জনতার বিজয় হয়েছে। আগামী দিনেও যাতে স্বাধীনতা ও দেশ বিরোধী শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহবান জানাচ্ছি।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, গণতন্ত্রকামী মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হোক।
লেখক: এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সাবেক মেয়র রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, জাতীয় চারনেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামানের ছেলে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী মহানগর সভাপতি, ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০১৫