বেনাপোল (যশোর): ২০১২ সাল, নামমাত্র সাংবাদিক আমি। সঠিকভাবে সংবাদ উপস্থাপন বলতে যা বোঝায় তার কিছুই জানতাম না! দায়িত্ববোধের প্রতিও তেমন গুরুত্ব ছিল না।
এরইমধ্যে রাজু নামে এক সাংবাদিক বড়ভাই বললেন, নতুন ছেলে খুঁজছে বাংলানিউজ। তাকে নিজেদের মতো তৈরি করে নেবে। ২০১২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বাংলানিউজ কার্যালয়ে এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেনের সঙ্গে দেখা করি।
তিনি আমাকে কাজ করার সুযোগ দিলেন দেশের শীর্ষ অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমে।
তবে এলাকায় ফিরে প্রথম প্রথম নিউজ লিখতে ভয় করতো। ভাবতাম দেশের শীর্ষ অনলাইনে লিখছি, কেমন হবে লেখা! এ সময় স্থানীয়ভাবে সহযোগিতা করার মতোও পাশে কেউ ছিল না।
বিষয়টি ঢাকা কার্যালয়ের সহকর্মীদের সঙ্গে শেয়ার করি। তারা আমাকে একটি নিখুঁত ও সঠিক সংবাদ কীভাবে উপস্থাপন করতে হয় বুঝিয়ে দিলেন।
আমার একাগ্রতা আর পরিশ্রমে শুরু হয় আমার প্রকৃত সাংবাদিকতা। নাতিদীর্ঘ এ সময়ে পথ চলতে অনেক ভুলভ্রান্তি হয়েছে। কিন্তু সে সব ভুল সংশোধন করে আমাকে পথ চলতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন সহকর্মীরা।
আর প্রতি মাসে কমপক্ষে ২/৩ বার ফোন দিয়ে খোঁজ-খবর নেন এডিটর ইন চিফ। যা একজন মফস্বল প্রতিনিধির কাছে অবিশ্বাস্য ব্যাপার। কিন্তু বাংলানিউজে এটি এটা অবাক নয়।
বাংলানিউজের এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেন আমার কাজের বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখেন। একজন সম্পাদকের এ ধরনের উৎসাহ এ পেশার প্রতি আমার মনোযোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
বর্তমানে বেনাপোলে বাংলানিউজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট হিসেবে কাজ করছি। আমার এ সম্মান ও সফলতার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান বাংলানিউজ এবং এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেন স্যারের।
সাংবাদিকতা পেশায় আমার যতটুকু পরিচিতি ঘটেছে তা বাংলানিউজের কল্যাণেই। এজন্য আমি গর্বিতও।
** সাংবাদিকতা শেখা ও করার মুগ্ধতায় বাংলানিউজ
** নিউজম্যানের গল্প
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪০ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১৫
এমজেড/এমএ