ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

শিশুযৌন নিপীড়ন বন্ধে সচেতনতা প্রয়োজন

সুমন পারভেজ, অতিথি লেখক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৬
শিশুযৌন নিপীড়ন বন্ধে সচেতনতা প্রয়োজন

শিশু যৌন নির্যাতন বৃদ্ধি ক্রমেই বেড়ে চলছে। শিশু যৌন নিপীড়ন কথাটির বিস্তার কত খানি? তা আমরা অনেকেই জানি না।

কিন্তু কেবল মাত্র শারীরিক আঘাত যৌন নির্যাতন নয়। দৈহিক বিষয়গুলো ছাড়াও অনেক আচরণ এর মধ্যে পড়ে।

বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে বেশ কিছু সংস্থা শিশু যৌন নির্যাতন বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। তারা নানা পরামর্শ দিচ্ছে এবং সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রচারণা চালাচ্ছে। ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স তেমনই একটি বেসরকারি সংস্থা।

এই সংস্থার তথ্য ও সমীক্ষা বলছে, বাংলাদেশের শতকরা নব্বই ভাগ শিশুই পারিবারিক গতিতে ধর্ষণ থেকে শুরু করে স্পর্শজনিত নিপীড়ন পর্যন্ত কোনো না কোনোভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। আর এই সব যৌন নির্যাতনের শিকার প্রতি ৫০ জন মানুয়ের মধ্যে ৪৬ জনই।

সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান, শিশুরা শিশু বয়সে পরিবারের সদস্য, স্বজন বা পরিচিতদের হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।

বাংলাদেশের যৌন নিপীড়নের ধরণ সম্পর্কে এই সংস্থার প্রতিবেদনে পাওয়া গিয়েছে এমনই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য। তথ্য আরও আছে। আমাদের দেশে শিশু বলতে যা বুঝি ০ থেকে ১৮ বয়সী সব ছেলে-মেয়েকে। কিন্তু অপ্রাপ্ত বয়সেই শিশুরা নানাভাবে যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। স্কুলে যাওয়ার পথে, আবার কেউ গৃহ শিক্ষকের হাতে, আবার কোনো শিশু পরিবারের নিকটতম সদস্য দ্বারা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়।

আমরা সরজমিনে গিয়ে এমন কিছু শিশুদের সঙ্গে কথা বলেছি, যারা বিভিন্নভাবে যৌন নিপীরনের শিকার হয়েছেন। এমন প্রশ্নের জবাবে যা উঠে আসে তা হলো- কেউ বা আত্মীয়দের দ্বারা আবার কেউ গৃহ শিক্ষকের কাছে।

যৌন নিপীড়ন কী করলে বন্ধ হবে এ সম্পর্কে জানতে চাইলে কথা সাহিত্যিক হাসান অরিন্দম বলেন, আমি মনে করি শিশু যৌন নিপীড়ন একটি বড় ধরনের অপরাধ এবং এ বিষয়ে আমাদের সবারই সচেতনতা প্রয়োজন। কিন্তু বেশি প্রয়োজন অভিভাবকদের সচেতনতা। অভিভাবক ও শিশুদের মধ্যে বন্ধু সুলভ আচরণ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, যৌন নিপীড়ন কী? সেটা সম্পর্কে তাদের আগে থেকেই বুঝাতে হবে। আর এই শিক্ষাটি দিতে হবে পরিবার থেকেই।

পরিবার হচ্ছে শিক্ষার প্রথম পাঠশালা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাবা-মা যদি সন্তানের সত্যিকার বন্ধু হতে পারে তাহলে শিশুটি তার সব সমস্যার কথা নির্ভয়ে বলতে পারবে। এভাবে যদি অভিভাবকরা তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারেন তাহলে সন্তান যৌন নিপীড়নের হাত থেকে রক্ষা পাবে।

আসুন এই কথা সাহিত্যিকের সঙ্গে আমরাও সবাই মিলে সচেতন হই। শিশুদের জন্য গড়ে তুলি এক অনাবির সুন্দর ভবিষ্যৎ। যৌন নিপীড়নের হাত থেকে রেহাই পাক আমাদের সমাজের সব শিশু। এই হোক আগামীর অঙ্গীকার।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৬
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।