ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

বেসিস আসলেই কি করে?

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৯ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৬
বেসিস আসলেই কি করে?

বেসিস কি একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি যে সরকারের সঙ্গে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড, ইন্টারনেট উইকসহ বিভিন্ন ইভেন্ট আয়োজন করে? বেসিস কি একটি আইটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র যে তারা হাজার হাজার তরুণদের আইটি এবং বিপিও প্রফেশনাল তৈরিতে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে? বেসিস কি একটি শিক্ষার্থীদের অ্যাসোসিয়েশন, যে তারা বেসিস স্টুডেন্টস ফোরাম গঠন করেছে? বেসিস কি শুধু বিলিয়ন ডলারের স্বপ্ন দেখায়, নাকি তা বাস্তবায়নে কিছু কাজও করে?

বেসিসের সদস্যদের ব্যবসা সম্প্রসারণে বেসিস যেসব কার্যক্রম পরিচালনা করে তার যেমন প্রশংসা রয়েছে, তেমনি কেউ কেউ আবার উপরের প্রশ্নগুলোও তুলছেন। এই প্রশ্নগুলো এবং বেসিস আসলেই কি করে তার উপর আলোকপাত করতেই আজকের এই লেখা।

চার বছর বেসিসের দায়িত্বে ছিলাম। এর মধ্যে প্রায় তিন বছর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। আমাদের মেয়াদে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বেসিসের সদস্য কোম্পানিগুলোর জন্য দেশে ও বিদেশে বাজার সৃষ্টি করা এবং তাদের ব্যবসায় সম্প্রসারণে। এজন্য আমরা প্রতিবছর সরকারের সঙ্গে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড আয়োজন করে আসছি, যেখানে চার লাখের অধিক লোকের সমাগম হয়েছে। প্রায় প্রত্যোকটি মন্ত্রণালয় থেকে ৬০টির বেশি সরকারি সংস্থা অংশগ্রহণ করে। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড হলো এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছিলেন এবং সকল মন্ত্রী, সচিব, চিফ ইনোভেশন অফিসার (সিআইও)’সহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা তাদের নিজস্ব মন্ত্রণালয়ের স্টলে উপস্থিত হয়েছিলেন। এর ফলে বেসিসের সদস্য কোম্পানিগুলো সরাসরি তাদের সাথে পরিচিত হতে পেরেছেন ও তাদের সামনে নিজেদের সেবাগুলো তুলে ধরতে পেরেছেন। যার ফলে সরকারি কাজে অনেকেরই অংশগ্রহণ বেড়েছে। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে প্রতিবছরই বেসরকারি খাত থেকে প্রায় ৭৫০ জন  প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) উপস্থিত হয়েছেন। সেখানেও তাদের সাথে ম্যাচমেকিংয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রায় ৬০ জনের মতো বিদেশি ক্রেতাও এখানে এসেছিলেন। তাদের সঙ্গেও অনেকগুলো বিটুবি ম্যাচমেকিং হয়েছে, তারা  আমাদের দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবাগুলো দেখেছেন এবং ফলশ্রুতিতে অনেকগুলো কোম্পানির সাথে কাজ করছেন।  

একইভাবে বেসিস তার সদস্যদের আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণে এবং তাদের রফতানি বাড়ানোর জন্য নেদারল্যান্ড ট্রাস্ট ফান্ড (এনটিএফ) প্রকল্প হাতে নেয়। যে প্রকল্পে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টার ও নেদারল্যান্ডের সিবিআই আমাদের সহযোগিতা করছে। এর মাধ্যমে ৬০টির বেশি বেসিস সদস্য কোম্পানি আন্তর্জাতিক বাজারে ২২টির বেশি বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে প্রায় ২২৫০ টি বিজনেস টু বিজনেস মিটিং করতে পেরেছে। এই কোম্পানিগুলো স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রতিবছর প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার রফতানি করছে। এই পুরো প্রকল্পটি বেসিস সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং কোম্পানি নির্বাচনে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টার ও সিবিআই এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে করা হয়েছে। তাদের ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে এবং উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রফতানি সম্ভব হয়েছে। যার ফলে যেখানে ৩ বছর আগে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের রফতানি আয় ১০০ মিলিয়ন ডলার ছিলো সেটি বর্তমানে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

বাজার উন্নয়নের পাশাপাশি বেসিসের অন্যতম আরেকটি কাজ ছিলো পলিসি তৈরি, পরিবর্তন ও পরিবর্ধন। সেই ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্ঠা, অর্থমন্ত্রী ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের মাধ্যমে বেসিসের অনুরোধে তারা ২০২৪ সাল পর্যন্ত সব সফটওয়্যার ও আইটি সেবা কোম্পানির জন্য কর্পোরেট ট্যাক্স মওকুফ করেছেন। বেসিসের সুপারিশে ই-কমার্সের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। বেসিসের সহযোগিতায় জাতীয় আইসিটি নীতিমালা তৈরি ও পরবর্তীতে অনেকগুলো পরিবর্তন আনা হয়েছে, যেগুলোর বাস্তবায়ন অনেকটা এগিয়ে গেছে।  

আমাদের শুধু বর্তমানে ব্যবসায় উন্নয়ন দেখলে হবে না, আগামী ১০ বছর পর এ খাতকে কোথায় নিয়ে যেতে হবে সেই চিন্তাও করতে হবে। সেই অনুযায়ী মানবসম্পদ তৈরিসহ দূরদর্শী পদক্ষেপ নিতে হবে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বেসিস এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় ২৩ হাজার দক্ষ জনশক্তি তৈরি করছে। বেসিস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিআইটিএম) শুধু ঢাকায় না, দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ছে। বিআইটিএম প্লাটফর্ম তৈরি করে দিচ্ছে, গাইডলাইন তৈরি করে দিচ্ছে। বেসিসের সদস্যভুক্ত যেসব কোম্পানি প্রশিক্ষণ দেয় তাদের মাধ্যমে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এটি অত্যন্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ও স্বাধীন সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে এই কোম্পানিগুলোকে নির্বাচন করা হচ্ছে। এর ফলে যাদের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আছে তাদের ব্যবসায় সম্প্রসারণ হবে। একইসঙ্গে আইসিটি ডিভিশনের এলআইসিটি, হাইটেক পার্কের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম রয়েছে, যার মাধ্যমে প্রায় ৩৪ হাজার আইটি প্রফেশনাল তৈরি হবে। ঐসব ট্রেনিংগুলোতেও বেসিস পাঠ্যসূচি তৈরি ও কারিগরী সহযোগিতা দিয়ে আসছে। আইসিটি ডিভিশন ও বেসিসের উদ্যোগের ফলে যেখানে কয়েকবছর আগে আমাদের আইটি প্রফেশনাল ছিলো মাত্র ২৫ হাজার, সেখানে বর্তমানে সরকারের হিসাবে ৭ লাখ আইটি এবং বিপিও প্রফেশনাল রয়েছে।  

বেসিস শুধুমাত্র সফটওয়্যার খাতের সংগঠন নয়। এটি সফটওয়্যারের পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন সেবারও সংগঠন। বেসিসের লক্ষ্য তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন করা। আর প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল ছাড়া দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমাদের দেশের শিক্ষাকাঠামো এবং ইন্ডাস্ট্রির চাহিদার মাঝে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। অর্থাৎ দেশে প্রতিবছর যে পরিমাণ শিক্ষার্থী আইটি বিষয়ে পড়াশোনা করে বেরিয়ে আসছে সেই পরিমান শিক্ষার্থী চাকরি ক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারছে না। আর তাই দক্ষ জনবল তৈরি, ইন্ডাস্ট্রির সাথে শিক্ষার্থীদের সরাসরি সম্পৃক্ত করা, তাদের মানোন্নয়ন, ইন্ডাস্ট্রি ও অ্যাকাডেমিয়ার যৌথ উদ্যোগসহ নানা কারণে বেসিস স্টুডেন্টস ফোরাম চালু করা হয়। এটি অবশ্যই প্রয়োজন ছিলো। কারণ এই ফোরামের মাধ্যমে ইতিমধ্যে বড় বড় সম্মেলনসহ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাধিক সেমিনার, আলোচনা, প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা কয়েক লাখ শিক্ষার্থীকে তথ্যপ্রযুক্তি পেশা সম্পর্কে জানানো, এই পেশায় তাদের আগ্রহী করা এবং করণীয় বিভিন্ন বিষয়ে জানাতে পেরেছি। যেসব আয়োজনে সরকারের মন্ত্রী থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রির সফল ব্যক্তি, শিক্ষাবিদরা উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের গাইডলাইন দিয়েছেন।  

আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে যাওয়ার প্রধান অন্তরায় হলো অ্যাক্সেস টু ফিন্যান্স। সেজন্য বেসিস গত কয়েকবছর ধরে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানিকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এরফলে ৫০০ স্টার্টআপ, ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, বিডি ভেঞ্চার লিমিটেড, সিফসহ বেশ কয়েকটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি বাংলাদেশে কাজ শুরু করেছে। এগুলো বেসিসের সদস্য কোম্পানিগুলোতেই বিনিয়োগ করা শুরু করেছে। একইসাথে বেসিসের উদ্যোগে আইডিএলসিকে নিয়ে একটি বিশেষ লোন প্রোডাক্ট তৈরি করা হয়েছে। এরফলে গত কয়েক মাসে বেসিসের প্রায় ২৫টি সদস্য কোম্পানি ৪০ কোটি টাকার বেশি ঋণ  পেয়েছে। একইসাথে ইইএফ এর যেসব কঠিন শর্ত ছিলো সেগুলো বেসিসের উদ্যোগে সহজ করে নিয়ে আসা হচ্ছে।

ইন্টারনেট এখন আর সৌখিন বিষয় নয়, মানুষের মৌলিক চাহিদা হয়ে দাড়িয়েছে। এটি আমাদের আইসিটি ব্যবসায়ের মূল চালিকাশক্তি। কয়েক বছর আগে যেখানে ইন্টারনেটের ব্র্যান্ডউইথের দাম ৭০ হাজার টাকা ছিলো সেটি বেসিসের বারবার অনুরোধে ও সরকারের সদিচ্ছার কারণে বর্তমানে প্রায় ৫০০ টাকায় এসে নেমেছে। ইন্টারনেটের বিষয়ে যাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয় তার জন্য বেসিস, আইসিটি ডিভিশন ও গ্রামীণফোনকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইক আয়োজন করে। যেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন। তিনটি বিভাগীয় শহরে বড় পরিসরের পাশাপাশি ৪৮৭টি উপজেলায় এই ইন্টারনেট উইকের আয়োজন করা হয়। এর ফলে বেসিস শুধু ঢাকা কেন্দ্রিক নয়, বেসিসের সদস্য কোম্পানিগুলো যাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও তাদের গ্রাহক পেতে পারে ও সেবা পৌছে দিতে পারে সেই লক্ষে ইন্টারনেটকে পৌছে দিতে সরকার ও টেলিকম অপারেটরদের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।  

আমাদের মেয়াদে যে কাজটি আমরা প্রায় শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছি কিন্তু পুরোপুরি শেষ করতে পারিনি, সেটা হলো পাবলিক প্রোকিউরমেন্ট পলিসি এবং অ্যাক্টের পরিবর্তন। বেসিস থেকে অনুরোধ করা হয়েছিলো, সরকারের যত আইসিটি সম্পর্কিত প্রোকিউরমেন্ট হয় তাতে যাতে স্থানীয় কোম্পানির কমপক্ষে ৫০ শতাংশ অংশগ্রহণ থাকে। আমাদের এই অনুরোধ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্ঠা, অর্থমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী সবাই সমর্থন করেছেন। সেজন্য আমরা একটি পলিসি ড্রাফট করে দিয়েছি, যেটি এখন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন আছে। আমি আশা করছি বেসিসের পরবর্তী মেয়াদে যেই দায়িত্ব নেবে একমাসের মধ্যে নতুন এই পলিসি বাস্তবায়ন করতে পারবে ও দেশে তথ্যপ্রযুক্তিতে যে ৫০০ মিলিয়নের বাজার রয়েছে তার প্রায় অর্ধেক আমাদের সদস্য কোম্পানিগুলোর হাতে চলে আসবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকার অনেক দূর এগিয়েছে। বেশ কিছু সরকারি সেবাতে ডিজিটালের ছোয়া, ইউনিয়ন পর্যন্ত উচ্চগতির ফাইবার অপটিক ক্যাবল পৌছে যাচ্ছে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসে জনগণ ইন্টারনেটে তথ্যপ্রযুক্তির সেবা নিচ্ছে। তবে সরকারকে পুরোপুরিভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে হলে আরও বেশি কাজ করা প্রয়োজন। স্থানীয় কোম্পানিগুলো যাতে সরকারি কাজ পায় বা অগ্রাধিকার থাকে, বাজেটের এডিপিতে (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) নূণ্যতম ১০ শতাংশ যাতে আইটিতে বরাদ্ধ দেওয়া ও খরচ করা হয় এবং বিদেশে বাংলাদেশের কান্ট্রি ব্র্যান্ডিংয়ে আরও গুরুত্ব দেওয়া হয় এমন প্রস্তাব আমরা আগে থেকেই করে আসছি। উপরোক্ত বিষয়গুলোতে নজর দিলে ও দেশীয় কোম্পানির জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে পারলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন হবে। আমরা সেই প্রত্যাশাতে আছি।

আগামী ২৫ জুন বেসিসের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন, নতুন নেতৃত্বের যোগ্যতায় পূর্ববর্তী কমিটির অসমাপ্ত কাজগুলো সফলভাবে শেষ হবে, সেই সাথে আইসিটি সেক্টরে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে এই শুভকামনা থাকবে। সভাপতি হিসেবে না থাকলেও আশা করি বেসিসের সামনের পথচলায় সঙ্গী হয়ে থাকবো। সংশ্লিষ্ট সবার কাছে দায়বদ্ধতা থেকে আগামীতে আমাদের কার্যক্রমের সফলতা, বিফলতা ও নতুন কমিটির কাছে প্রত্যাশা তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

কিন্তু একটি কথা না বললেই নয়। বেসিস আজকের যে অবস্থানে এসেছে তা একজন-দুজনের অবদান নয়, অনেক মানুষের নেতৃত্ব, পরিশ্রম, স্যাক্রিফাইসের ফল। গঠনমূলক সমালোচনা অবশ্যই হওয়া উচিত এবং সমস্যা চিহ্নিত করে তার সমাধান নিয়েই বেসিস সামনে এগিয়ে যাবে এই কামনা করি।

লেখক বেসিস সভাপতির দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক। তিনি ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটালের জেনারেল পার্টনার। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সেরও সদস্যও শামীম। পাশাপাশি অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক পদেও রয়েছেন।

দেশের স্বনামধন্য সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান ই-জেনারেশন লিমিটেডের ও বেঞ্জমার্ক ই-জেনারেশন লিমিটেডের চেয়্যারম্যান, সুপরিচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বাগডুম ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন শামীম। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের এ সংগঠক ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকার, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক পরিসরে নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে চলেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৬

আরএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।