ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

সংবাদপত্রের ইতিহাসে অনলাইনের নতুন দিগন্ত

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, কানাডা থেকে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১১
সংবাদপত্রের ইতিহাসে অনলাইনের নতুন দিগন্ত

ক] অভিনন্দন ‘বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’কে। আর ধন্যবাদ এর এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেনকে।

কারণ, তিনি বাংলাদেশের অনলাইন নিউজ পোর্টালে ভিন্ন মাত্রা যুক্ত করে সংদাদপত্রের জগতে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছেন। প্রযুক্তি আর প্রজন্মকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বজুড়ে বাংলা ভাষাভাষীদেরকে অতি দ্রুত এক বৃত্তের ভেতর এনে আশ্চর্য এক বন্ধন তৈরি করলেন। তাঁর এই বিরল দৃষ্টান্ত বাংলা সংদাদপত্রের ইতিহাসের অংশ।

প্রথমে বিডিনিউজ২৪.কম, পরে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের মাধ্যমে কিভাবে কোন জাদুমন্ত্রে তিনি পাঠকের হূদয় ছুঁয়ে তাদের চেতনায় নাড়া দিয়েছেন, তা আমার জানা নেই। তাই অনলাইন নিউজ পোর্টালের পায়োনিয়রকে আবারও আন্তরিক অভিনন্দন!
 
খ] দিনে দিনে দৈনিক পত্রিকার গুরুত্ত্ব কী হ্রাস পাচ্ছে? প্রিন্টেড পত্রিকা তো দিনে বা রাতে একবার ছাপা হয়। আর তা তো সারা বিশ্ববাসী পড়তে পারেন না। সেখানে অনলাইন নিউজ পোর্টাল মুহূর্তে মুহূর্তেই সর্ব শেষ নিউজটি তুলে ধরছে। পাঠক সাথেই সাথেই গরম চায়ের মতোই পেয়ে যাচ্ছে গরম গরম তরতাজা সংবাদ। তাই বাধ্য হয়ে এখন প্রায় সব প্রিন্ট মিডিয়ার দৈনিক ও পাক্ষিকগুলো তাদের অনলাইন ভার্সনও চালু করছে।
 
আমরা লেখক হিসাবে অনেক বেশি লাভবান হয়েছি। যা লিখছি, তা সাথে সাথেই প্রকাশ করতে পাচ্ছি, শেয়ার করতে পারছি পাঠকদের সাথে। এজন্য আমি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। প্রথমতঃ অতি দ্রুত যত্ন সহকারে লেখাটি প্রকাশ হচ্ছে। দ্বিতীয়তঃ লিখে ৯৯% স্বাধীনতা পাওয়া যায়। তৃতীয়তঃ বিপুল পাঠকের (গাল-মন্দ-অভিনন্দন) সাড়া মেলে। এ কথাগুলো আরো একটি অন লাইন সাপ্তাহিকের ক্ষেত্রে পুরোটাই প্রজোয্য। সেটি হলো- টরন্টো থেকে প্রকাশিত দ্য বেঙ্গলি টাইমস। যার সম্পাদনা করেন শহিদুল ইসলাম মিন্টু। তা নিয়ে আরেক দিন লিখবো।
 
গ] এখন ব্যাঙের ছাতা এবং ব্যাঙাচির মতো আজ-বাজে অজস্র অন লাইন পত্রিকা বের করে ‘আলমগীর হোসেন’ হতে চাচ্ছেন! নানা জায়গা থেকে ইচ্ছে মতো ছবি/ নিউজ/ লেখা/ প্রতিবেদন/ কলাম নিয়ে সাংঘাতিক সাংবাদিক সেজে বসে আছেন। তাদের যন্ত্রণায় পাগল হবার অবস্থা! লেখা চায়। লেখা না দিলে বিনা অনুমতিতেই অন্যত্র থেকে লেখা নিয়ে নেয়। কেউ তো রীতি মতো আমার লেখা একটু আধটু ঘুরিয়ে নিজের নামে চালিয়ে দিচ্ছে! আবার কোনো কোনো অন লাইনের ‘মহা সম্পাদক’ সাহেব আমাকে না জানিয়েই কোথাও থেকে ছবি সংগ্রহ করে ‘কানাডা প্রতিনিধি’ বানিয়ে ধন্য করে লিংক পাঠান! এই হচ্ছে-  হাতুড়ে ডাক্তারদের সার্জারির মতো তথাকথিত স্বঘোষিত সম্পাদকদের কর্মকান্ড! অনলাইন সাংবাদিকতার সুষ্ঠু চর্চার স্বার্থেই তাদের রুখতে হবে।
 
Saifullahdulal@gmail.com

বাংলাদেশ সময় ১১৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।