১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর খুনিরা বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছিল। যার অন্যতম এম মনসুর আলী প্রয়াত নেতার বাবা।
স্বৈরাচার খুনি জিয়ার অত্যাচার, জেল-জুলুম মোহাম্মদ নাসিমকে দমাতে পারে নাই। ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাংলাদেশে পদার্পণের পর থেকে রাজনৈতিক ছায়াসঙ্গী হয়ে গণতন্ত্র, ভোট ও ভাতের অধিকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সংগ্রামে প্রয়াত নেতা ছিলেন সবসময় পুরোভাগে। আমি সদ্যপ্রয়াত নেতার সংস্পর্শে আসি সম্ভবত ১৯৮৭ সালে। যুবলীগের সম্মেলনে দিনাজপুরে গিয়েছিলেন জননেতা আমির হোসেন আমুর সঙ্গে। তখন তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের উত্তাল সময়। তারপর থেকে সে সর্ম্পক আরও কাছাকাছি হয়েছে।
তার রাজনৈতিক উপদেশ, দিকনির্দেশনা আমাকে পথ দেখিয়েছে। অনেক স্মৃতি...! সাংগঠনিক কাজ করতে গিয়ে প্রয়াত নেতার সঙ্গে কত হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়েছি, তা নিরূপণ করা সম্ভব নয়। তাকে কখনও ক্লান্ত হতে দেখিনি।
২০০১ সালের পর খালেদা-নিজামীর দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে মোহাম্মদ নাসিম একটি প্রেরণার নাম ছিলেন। ১/১১ এর সময় গ্রেফতার করে নির্যাতন করা হয়েছিল তাকে। সেই সময় শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক হস্তক্ষেপে উন্নত চিকিৎসায় তাকে বিদেশ পাঠানো হয়েছিল। তিনি সুস্থ হয়ে এলেও শারীরিকভাবে পুরোপুরি ঠিক হতে পারেননি। কিন্তু তার মনোবল ছিল দৃঢ়। শারীরিক সীমাবদ্ধতাটাকে মানসিক দৃঢ়তা দিয়ে কাটিয়ে উঠতেন তিনি। যা আমাদের কাছে প্রেরণা।
বিশেষ করে ২০১১ সালের পর স্বাধীনতাবিরোধীদের তাণ্ডবের সময় ১৪ দলীয় জোটের রাজনীতিতে তার ভূমিকা অপরিসীম। আমাকে সবসময় অনুপ্রেরণা দিতেন তিনি। ১৪ দলের জাতীয় নেতাদের নিয়ে সারাদেশ চষে বেড়িয়েছেন। গণমানুষকে সংগঠিত করেছন দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।
এই সময় তার চলে যাওয়া আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি। তবে তার কর্ম, সাহস, দৃঢ়তা আমাদের কাছে পাথেয় হয়ে থাকবে।
প্রয়াত নেতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা...।
লেখক: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী