আমার উত্তর: আমি বাংলাদেশকে ভালবাসি, আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করি, তাই আমি আওয়ামী লীগ সমর্থন করি। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিশ্চই অনেক ক্ষেত্রেই বিচ্যুতি ও ব্যর্থতা ছিল এবং আছে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আওয়ামী লীগের সরকারে থাকা খুবই জরুরি, এর কোনো বিকল্প নেই। আমি শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা বলছি না, আমি মূল্যবোধের উন্নয়নের কথাও বলছি।
একটা ছোট উদাহরণ দেই। নিজেকে প্রশ্ন করে দেখুন, যুদ্ধাপরাধের বিচারের মতো এমন অতি জটিল অথচ গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ আর কোনো দলের পক্ষে করা সম্ভব ছিল? যুদ্ধাপরাধের বিচারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ মূল্যবোধের উন্নয়নের ক্ষেত্রেও অনেক ধাপ এগিয়ে গেছে।
মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জামায়াতে ইসলাম হলো রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীদের সংগঠন। বিএনপি হলো রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীদের জোটের অংশ এবং রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগ কৌশলে আলাদা করে না রাখলে তারাও বিএনপির মতোই একটা দল এবং একই রকম ভূমিকা নিতো বাংলাদেশের রাজনীতিতে। মূলধারার বাইরে ধর্মীয় মৌলবাদী দলগুলো মূলত পাকিতন্ত্রে বিশ্বাসী। আর মূলধারার বাইরে ‘বাম’ দলগুলো চরম ideologue (মৌলবাদী) এবং বাস্তবতা বিবর্জিত। এই দলগুলোর নিজের কিছু করার মুরদ নেই, তাদের কাজ শুধু দাবি জানানো। তাদের যা দাবি তা আওয়ামী লীগকেই সরকারে গিয়ে পূরণ করতে হয়, যেমন ‘যুদ্ধাপরাধের বিচার’।
কাজেই, আমার আশা করার জায়গা শুধুমাত্র আওয়ামী লীগই। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে অনেক কিছু দিয়েছে, তাই আমার অবস্থান আওয়ামী লীগের পক্ষেই, তথাকথিত নিরপেক্ষ নয়। প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক এবং অর্থনৈতিকভাবে উন্নত রাষ্ট্র আমাকে আর কোন দল দিতে পারবে? আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন ও ভালবাসা আমার দেশপ্রেমেরই অংশ।
আজ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। অনেক অনেক শুভেচ্ছা ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’। জয় বাংলা!
লেখক: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এবং চেয়ারম্যান, সুচিন্তা ফাউন্ডেশন
বাংলাদেশে সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২০