ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আ.লীগ আবারও দেশের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত: কাদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২২
আ.লীগ আবারও দেশের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত: কাদের আওয়ামী লীগের সম্মেলনের শৃঙ্খলা ও স্বেচ্ছাসেবক উপকমিটি এবং মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপকমিটির যৌথসভা | ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নেত্রী (শেখ হাসিনা) একটি সুশৃঙ্খল সম্মেলন দেখতে চান। জাতিকে দেখাতে চান, আওয়ামী লীগ আবারও এই দেশের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের শৃঙ্খলা ও স্বেচ্ছাসেবক উপকমিটি এবং মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপকমিটির যৌথ বৈঠকে প্রধান অতিথির এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের পূর্ব শর্ত শৃঙ্খলা। সভা করবো সুশৃঙ্খল। আমার ধারণা এবার ঐতিহাসিক সম্মেলন হবে। কারণ সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে যে গণজাগরণের ঢেউ, গোটা দেশ জেগে গেছে বিজয়ের মাসে। যেখানেই সমাবেশ করেছি, সেখানে স্রোতের মতো মানুষ। সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গ যেন আছড়ে পড়েছে। এরকম তরঙ্গ বিক্ষোভ দেখতে পাচ্ছি।

বিজয়ের মাসে সম্মেলনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষ উপস্থিতি হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যবস্থাপনাটাও ভালোভাবে করতে হবে। সম্মেলন সাদামাটা হবে। উপস্থিতি সাদামাটা হচ্ছে না। এটা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করবে বলে আমার বিশ্বাস। সাদামাটা সাজসজ্জা, আলোকসজ্জা হবে।

সম্মেলেনে বাঙালি জাগরণের ঢেউ জেগেছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে গোটা দেশ জেগে গেছে বিজয়ের মাসে। সুনামগঞ্জ থেকে সুন্দরবন, কুতুবদিয়া থেকে তেঁতুলিয়া—যেখানেই গিয়েছি স্রোতের মতো মানুষ, সব জায়গাতেই মানুষের ঢেউ।

বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের কর্মসূচির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাষ্ট্রকে যারা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে তারা আবার এ রাষ্ট্র মেরামত করবে! মেরামত তো শেখ হাসিনা করেছেন। করেছেন বলেই তো আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোলমডেল।

গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ধ্বংস করেছেন। দুর্নীতি ও লুটপাট করে কোষাগার খালি করেছেন। রিজার্ভ ৪ বিলিয়ন ডলারেরও নিচে ছিল। আমাদের নেত্রী ৪৮ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে গেছেন, বলেন তিনি।

যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে অনেকে রাষ্ট্র মেরামত করার প্রয়াস নিয়েছে। গতবারও ২৩ দল ছিল, এবার ৩৩ দল। বাম, ডান, এরমধ্যে প্রগতিশীল আর প্রতিক্রিয়াশীল একসঙ্গে হয়ে গেছে। সব এক কাতারে একাকার, লক্ষ্য শেখ হাসিনাকে হটানো।

তিনি বলেন, শুনেছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশের কাউন্টার ভিশন-২০৩০ বিএনপির। সেটা কোথায়? এখন তারা কর্মসূচি দিয়ে দেখাচ্ছে তারা আছে। তাদের নেতাকর্মীরা বহুদিন ক্ষমতায় নেই, তাতেই খাই খাই ভাব। তাদের একটু খুশি রাখতে হবে। সেই জন্য অনেক কথা বলছেন।

মানুষের চিন্তা-চেতনার সঙ্গে সংগতি রেখে পথ চলতে হবে উল্লেখ করে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষ কী চাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম কাজ মানুষকে রক্ষা করা। সংকটকে সম্ভবনায় রূপ দিয়েছেন করোনায়। এখনও (বৈশ্বিক সংকটে) বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।

শৃঙ্খলার দায়িত্বে যারা আছেন তারা কয়জন জেলার নেতাদের চেনেন সেটা নিয়ে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, অচেনা মুখ দিয়ে হবে না। আওয়ামী লীগের অনেক বড় বড় নেতা আছেন, যারা জেলার সব নেতাকে চেনেন না।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও শৃঙ্খলা উপকমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২২  
এনবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।