ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

শেখ হাসিনার পর নেতা কে জানে না কেউ: বুলু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২২
শেখ হাসিনার পর নেতা কে জানে না কেউ: বুলু

 

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পর দলটির পরবর্তী নেতা কে হবে সেটা কেউ জানে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।

ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় কারাবন্দী খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, রুহুল কবির রিজভীসহ বিএনপির সকল নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন।

অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বুলু বলেন, আজকে দেশের ১৮ কোটি মানুষকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পরে বিএনপির নেতা কে হয়েছেন- সবাই বলবে খালেদা জিয়া। তারপরে তারেক রহমান। এরপরের নামগুলোও সবাই বলে দিতে পারবেন। কিন্তু আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনার পরে কে নেতা হবেন, কেউ বলতে পারবেন না। কারণ, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ইহুদি বিয়ে করে আমেরিকায় বসবাস করে। শেখ রেহানার ছেলে-মেয়ে ইহুদি বিয়ে করে লন্ডনে বসবাস করেন। তাদের বংশধররা কেউ এ দেশে থাকেন না।

তিনি আরও বলেন, আজকে দেশে সংকট চলছে। মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল গণতন্ত্রের অধিকার, বাক-স্বাধীনতার মুক্তি, অর্থনৈতিক মুক্তি, সংবাদ পত্রের স্বাধীনতার জন্য। কিন্তু আজ এই পাঁচটি মৌলিক অধিকার ভূলুণ্ঠিত। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী থেকে আজীবনের জন্য রাষ্ট্রপতি হয়ে গেলেন। এ দেশে এক দলীয় বাকশাল কায়েম করে সকল গণতান্ত্রিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। তিনি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, মৌলিক অধিকার, বাক-স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করেছিলেন।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫১ বছরে এসে আমাদের আবার সংগ্রাম করতে হচ্ছে গণতন্ত্রের জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য। এটা জাতির সাথে একটি পরিহাস। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের পাঁচটি মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।

জিয়াকে বীর উত্তম খেতাব নিয়ে চলা বিতর্ক নিয়ে বুলু বলেন, আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রীরা বলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা নাকি পাকিস্তানের চর ছিলেন। উনি নাকি মুক্তিযোদ্ধা না! উনি নাকি কোথাও মুক্তিযুদ্ধ করেননি! একজন বলেছেন জিয়াউর রহমান যদি কোথাও রণাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধ করে থাকেন তাহলে উনি নিজের সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলবেন। আমি আপনাদের কাছে, জনগণের কাছে, আওয়ামী লীগের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, ১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগের সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল। সেই সরকার কেন জিয়াউর রহমানকে বীর উত্তম উপাধি দিল? তিনি যদি মুক্তিযুদ্ধ না করে থাকে, তাহলে তাকে কেন সেক্টর কমান্ডার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন? তাহলে আওয়ামী লীগ সরকারের বিচার আপনারা করেন, কী কারণে একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে বীর উত্তম খেতাব দিয়েছে?

তারেক রহমান আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় আতঙ্ক উল্লেখ করে তিনি বলেন, হিংসার বশবর্তী হয়ে মিথ্যা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জেলখানায় বন্দী করে রাখা হয়েছে। তারেক রহমানের নাম শুনলে আজকে প্রধানমন্ত্রী আতঙ্কিত হন। মানুষের গণ দাবি, এই সরকারের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার অধিকার নাই। এরা ব্যাংক লুট করেছে, রাষ্ট্রের সম্পদ লুট করেছে। ভোটের দাবিতে এই সরকারের পদত্যাগ দাবি করছে মানুষ।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের চেয়ারম্যান ড. কাজী মনিরুজ্জামান। সঞ্চালনা করেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম। বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাছের মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ, তাঁতি দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনিছুর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২২
এসসি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।