ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপি সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল: খন্দকার মোশাররফ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২৩
বিএনপি সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল: খন্দকার মোশাররফ

ঢাকা: বিএনপি সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, বিএনপি রাষ্ট্র কাঠামোর যে ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেছে তার মধ্যে রয়েছে ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার।

এ নীতির মধ্যে প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী তার নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবে।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, আমাদের ধনী ও গরিবের মধ্যে যে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে, ব্যাংক ডাকাতি করেছে সব কিছু আপনারা ভালো করেই জানেন। যারা এসব কাজগুলো করেছে তারা কখনোই এসব মেরামত করতে পারবে না। এ চিন্তা-চেতনা থেকে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাষ্ট্র কাঠামোর জন্য ২৭ দফা ঘোষণা করেছেন। ২৭ দফা ইতোমধ্যে দেশের মানুষকে উজ্জীবিত করেছে ও আশা সঞ্চার করেছে।

তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন যারা গায়ের জোরে সরকারে রয়েছে তারা নানান জায়গায় কত অনাচার সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয় মন্দিরে গির্জায় ইত্যাদি স্থানে। এগুলো বলে শেষ করা যাবে না।

মোশাররফ বলেন, সামনে আমাদের একটাই চ্যালেঞ্জ এটা হচ্ছে, এদেশের মালিক জনগণ। এ জনগণ আমি ও আপনি। বাংলাদেশটা এদেশের জনগণের, এ জনগণের দেশকে আওয়ামী লীগের একটি গোষ্ঠী নিজেদের করে নিয়েছে এবং তারা লুটপাট করছে। অতএব এ দেশটাকে উদ্ধার করে জনগণকে ফেরত দিতে হবে। সেজন্যই আমাদের ২৭ দফা রূপরেখা।

তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে ১০ দফা ঘোষণা করা হয়েছে তার অর্থ হচ্ছে এ সরকারকে আমরা হটাতে চাই। এ সরকারকে না হটাতে পারলে যত অনাচার-অত্যাচার, অন্যায় রয়েছে তা আমরা দূর করতে পারবো না। গণতন্ত্র না থাকলে কোনো প্রতিষ্ঠানেই ঠিকমতো চলতে পারে না। সেটাই আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। স্বাধীনতার পরেও করেছে বাকশাল করে, এখন আবার করেছে। দেশকে আমাদের উদ্ধার করতে হবে। আমরা হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে উদ্ধার করব। জনগণের কাছে ফেরত দেবো।

অনুষ্ঠানে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য এবং আমাদের নেতা তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা যেই আন্দোলন শুরু করেছি, এ লড়াইয়ে বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই।  

অনুষ্ঠানে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশের রাজনীতিতে একটি কালো অধ্যায় রচিত হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ হাজারো নেতাকর্মী জেলে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সংখ্যালঘু শব্দ কখনোই ব্যবহার করে না।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শুকোমল বড়ুয়া, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খানসহ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২৩
এমএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।