ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

অতিদরিদ্রের ঘাড়েও লুটপাটের দায় চাপাচ্ছে সরকার: সাকি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৩
অতিদরিদ্রের ঘাড়েও লুটপাটের দায় চাপাচ্ছে সরকার: সাকি

ঢাকা: গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন এক মাসে দুইবার বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করে এবং লাইফ লাইনে থাকা অতিদরিদ্রদের বিদ্যুতের দামেও হাত দিয়ে চরম স্বেচ্ছাচারিতার প্রকাশ ঘটালো বর্তমান জবাবদিহিতাহীন অগণতান্ত্রিক সরকার।

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, আবাসিক গ্রাহকদের মধ্যে শূন্য থেকে ৫০ ইউনিট ব্যবহারী অতিদরিদ্রদের ব্যবহার করা বিদ্যুতের মূল্য ৩.৭৫ টাকা বাড়িয়ে প্রথমে ৩.৯৪ এবং দ্বিতীয়বারে অর্থাৎ গতকাল বৃদ্ধি করা হয়েছে ৪.১৪ টাকা। একইভাবে শূন্য থেকে ৭৫ ইউনিট ব্যবহারকারীদের পূর্বের মূল্য ছিল ৪.১৯ টাকা এবং দুইবারে বেড়ে তা দাঁড়িয়েছে ৪.৬২ টাকা। এভাবে ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট ব্যবহারকারীদের ৫.৭২ টাকা থেকে বেড়ে ৬.০১ ও বর্তমানে ৬.৬২ টাকা করা হয়েছে। ২০১ থেকে ৩০০ ইউনিট ব্যবহারকারীদের ৬ টাকা থেকে বেড়ে ৬.৩০ টাকা, ৩০১ থেকে ৪০০ ইউনিটের জন্য ৬.৩৪ থেকে বেড়ে ৬.৬৬ টাকা করা হয়েছে এভাবে প্রতিটি ভাগেই দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী আরও বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত ১৪ বছরে বিদ্যুতের মূল্য পাইকারি পর্যায়ে ১০ বার এবং খুচড়া পর্যায়ে ১১বার মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। ন্যূনতম জবাবদিহিতার পদ্ধতি হিসেবে বিইআরসি-তে গণশুনানির আয়োজন করা হতো, ভোক্তাসহ বিভিন্ন অংশীজনদের মতামত শোনার সুযোগ ছিল, এখন সেটাও বন্ধ করে সরকারের একক সিদ্ধান্তে সব রকম জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি করছে। জবাবদিহিতাহীন সরকার তাদের দুর্নীতি ও ভুলনীতির দায় সাধারণ মানুষের ওপর চাপাতে আর কোনো রাখঢাক রাখতে চাইছে না।

ইতোমধ্যে বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে চলতি মাসে। এক মাসে তিনবার দুই ধরনের জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষকে খাদের কিনারে নিয়ে ঠেকিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতির ফলে মানুষ প্রায় অনাহারে, সেখানে নতুন করে সরকার নিজেই বাড়তি খরচ চাপিয়ে দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন জোনায়েদ সাকি।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, শুধু তাই নয়, লাইফ লাইনে থাকা অতিদরিদ্রদেরও সরকার আর রেহাই দিতে চাইছে না। তাদের মৌলিক চাহিদার দায়-দায়িত্ব সরকার নিতে না পারলেও বাড়তি খরচের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৯৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৩
পিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।