বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের পক্ষে রংধনু গ্রুপের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মদিন’ ও ‘জাতীয় শিশু দিবস’ উদযাপন করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগের শত শত নেতাকর্মী খণ্ড-খণ্ড মিছিল নিয়ে প্যান্ডেলে প্রবেশ করতে শুরু করেন।
শুক্রবার বিকালে উপজেলার রূপগঞ্জ ইউনিয়নের ৩০০ ফুট সড়কের পাশে পিতলগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত বালুর মাঠে দোয়া মাহফিল, কেক কাটা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে জাতির পিতার জন্মদিন উদযাপন করা হয়।
রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবুল বাশার টুকুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর মাস্টার।
বক্তব্যে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি নিয়ে গড়ে ওঠা আন্দোলনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমেই শেখ মুজিবের রাজনৈতিক তৎপরতা ত্বরান্বিত হয়। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ এর মহান ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৮ এর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন ও ১৯৬৬ এর ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি হয়ে ওঠেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা। ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতা তাকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেয়। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বাঙালিরা বঙ্গবন্ধুর ৬ দফার পক্ষে সমর্থন জানায়। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বাঙালিদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে। ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী পরিকল্পিত গণহত্যা শুরু করলে ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের আপামর জনতা প্রায় নয় মাস যুদ্ধ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জন করে। বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। আর সেই মহান ব্যক্তির আজ জন্মদিন। ’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহরিয়ার পান্না সোহেল, কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র ও পৌর যুবলীগের সভাপতি আলহাজ রফিকুল ইসলাম, তরুণ শিল্পপতি তারিকুল ইসলাম মোগল, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু হোসেন ভূঁইয়া রানু, মানজুরুল ইসলাম মাঞ্জু, রংধনু গ্রুপের পরিচালক ও জেলা পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কামাল হোসেন কমল, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট তাইয়ুবুর রহমান।
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের রাজনৈতিক মুখপাত্র শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন সাঈদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ফয়েজুর রহমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুল ইসলাম খোকন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল আউয়াল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আলী আজগর, আওয়ামী লীগ নেতা হাজি সফিকুল ইসলাম, মইন মোল্লা, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন মেম্বার, রূপগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি কাজী আব্দুল মজিদ, ভুলতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মোজাম্মেল হক মিলন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আলী মাস্টার, শাখাওয়াত শিকদার, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম, ইউপি সদস্য রিটন প্রধান, শামসুল হক, গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ ভুঁইয়া, দাউদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুদা আক্তার, যুবলীগ নেতা হুমায়ুন আহমেদ, সেকান্দর আজাদ, অ্যাডভোকেট যতীন্দ্র বাবু, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য করিম পাঠান, জামান বেপারি, জ্যোৎস্না মহিউদ্দিন, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আলতাফ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক খলিলুর রহমান, প্রচার সম্পাদক হাজী মজিবুর রহমান, জলিল ভূঁইয়া, ভোলাবো ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল আলম জেমিন, ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন, মুসলিম খাঁন, যুবলীগ নেতা বিল্লাল হোসেন, নূর মোহাম্মদ, মাসুম রেজা, আব্দুর রউফ, কামরুল ইসলাম নয়ন, রমজান আলী প্রধান, মহিলা লীগ নেত্রী শারমিন আক্তার, সাহিদা আক্তার, তারাবো পৌরসভা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনা আকতার, নিগার সুলতানা রুজিনাসহ আরও অনেকে।