ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে সিইসিকে পদত্যাগ করতে হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৮ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২৩
‘ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে সিইসিকে পদত্যাগ করতে হবে’

খুলনা: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতার পরিবর্তনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাই মুখ্য।

কিন্তু বর্তমান সরকার নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে বারবার একটি নিরপেক্ষ জায়গায় পক্ষপাতদুষ্ট কমিশন নিয়োগ দিচ্ছে। যারা ইনিয়ে-বিনিয়ে জাতিকে ধোঁকা দিয়ে বারবার প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করে চলছে। বর্তমান কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন অতীতের সব নির্লিপ্ততা পেছনে ফেলে ইতোমধ্যে মানসিক বিকারগ্রস্ত হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছে।  

শুক্রবার (১৬ জুন) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম ঘোষিত দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর ও জেলা আয়োজিত শায়েখে চরমোনাইকে নিয়ে মানসিক বিকারগ্রস্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাণ্ডজ্ঞানহীন ও ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য ও খুলনা-বরিশালে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল প্রহসনের নির্বাচন ও বিসিসি মেয়র পদপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিমের ওপর বর্বর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্বক তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘তিনি কী ইন্তেকাল করেছেন?’ শায়েখে চরমোনাইকে নিয়ে এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বের সঙ্গে চরম বেমানান। এমন বক্তব্য নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। ইতোমধ্যে সিইসির এমন বক্তব্যকে সচেতন মহল পাগলের প্রলাপ বলে অবিহিত করেছেন।  

এ সময় সংগঠনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে ব্যর্থতার দায় নিয়ে সিইসিকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান। অন্যথায় দেশের জনগণ ব্যর্থ ও অযোগ্য সিইসিকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

তিনি বলেন, বর্তমান ছাত্রলীগ বিগত সময়ে ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে সব অর্জনকে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে, যার বাস্তব প্রমাণ খুলনা ও বরিশাল সিটি নির্বাচন। হাজার হাজার বহিরাগত এনে সন্ত্রাসী কায়দায় নির্বাচনের পরিবেশকে ব্যাহত করেছে। দেশের গণমানুষের সংগঠন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির ও বিসিসি মেয়রপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিমের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা করছি। এসব সন্ত্রাসীদের যদি উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে সরকার ও প্রশাসন ব্যর্থ হয় তাহলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেন আব্দুল আউয়াল।  

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরানের সভাপতিত্বে ও নগর সেক্রেটারি মুফতি ইমরান হুসাইন ও জেলা সেক্রেটারি হাফেজ আসাদুল্লাহ গালিবের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- দলের নগর সহ-সভাপতি মুফতি আমানুল্লাহ, মাওলানা শায়খুল ইসলাম বিন হাসান, শেখ মো. নাসির উদ্দিন, শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, মো. আবু গালিব, মাওলানা দ্বীন ইসলাম, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল নোমান, মাওলানা  মাহবুবুর রহমান, মুফতি আশরাফুল ইসলাম, মাওলানা আব্বাস আমীন, মো. হুমায়ুন কবির, মুফতি আমিরুল ইসলাম, আবুল কাশেম, মো. নিজাম উদ্দিন মল্লিক, অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন, মুফতি ইলিয়াস মাঞ্জুরী, শফিউল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিএম কিবরিয়া, সরোয়ার হোসেন বন্দ, আব্দুস সালাম, হাফেজ আব্দুল লতিফ, মোল্লা রবিউল ইসলাম, মো. শাহিন হোসেন, এইচ এম আরিফুল ইসলাম, গাজী ফেরদাউস সুমন, মুফতি মইনুল ইসলাম, মাস্টার মঈনুদ্দিন ভূঁইয়া, মাওলানা হাফিজুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, মারুফ হোসেন, হাফেজ খায়রুল ইসলাম, ক্বারী জামাল হেসেন, কাজী তোফায়েল হোসেন, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের মুফতি রবিউল ইসলাম রাফে, মোস্তফা বাঙালি, শ্রমিক নেতা মো. আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা ইলিয়াস হোসেন, ইব্রাহিম ইসলাম খান, যুবনেতা মুফতি আবদুর রহমান মিয়াজী, মাওলানা ফজলুল হক, মো. আব্দুর রশিদ, নাজমুল খালিদ সাইফুল্লাহ, ছাত্রনেতা আবু রায়হান, মো. মইনুদ্দিন, মাহাদী হাসান মুন্না, নাঈম ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২৩
এমআরএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।