ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ফরিদপুরে নীরব ভোট বিপ্লব ঘটিয়েছেন জনগণ: এ কে আজাদ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৪
ফরিদপুরে নীরব ভোট বিপ্লব ঘটিয়েছেন জনগণ: এ কে আজাদ

ফরিদপুর: ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে সদ্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য এ কে আজাদ বলেছেন, সারা দেশের মতো ফরিদপুরেও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হয়েছে। ফরিদপুরের ভোট দিয়েছে ৫২ শতাংশ ভোটার।

 

তিনি বলেন,. কিছু কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থী শামীম হকের অনুসারীরা পেশী শক্তি প্রয়োগ করেছেন। এ রকম দুই একটি ঘটনা ছাড়া ফরিদপুরে নীরব ভোট বিপ্লব ঘটিয়েছেন জনগণ।  

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলির নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (আরসিসি) মেয়রকে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে গ্রেপ্তারের উদাহরণ টেনে শামীম হকের প্রসঙ্গে এ কে আজাদ বলেন, গ্রেপ্তার হওয়ার জন্য উনি সব অপরাধ করেছেন। তিনি কি গ্রেপ্তার হতে পারেন না? তাহলে প্রশাসন উনাকে ফেভার করল না কি আমাকে ফেভার করল। ভোটে হেরে গিয়ে উনি প্রশাসনকে দোষারোপ করছেন। শামীম হক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আমার ভাই। আমি তাকে অনুরোধ করছি সব ভেদাভেদ ভুলে আসুন আমরা একসঙ্গে ফরিদপুরের উন্নয়ন করি। ভোটে হেরে গিয়ে কাউকে দোষারোপ না করে আসুন একসঙ্গে কাজ করি।


মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য বিপুল ঘোষ, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন, জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিক প্রবীর শিকদার, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুসরাত রাসুল তানিয়াসহ জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা।  

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের নেতৃত্বে গঠিত বিভিন্ন কমিটিকে অবৈধ ঘোষণা করেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য বিপুল ঘোষ।  

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনার বাইরে উনি জোড় করে অনেক কমিটি গঠন করেছে। আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করছি, এ সমস্ত কমিটি অবৈধ, আমরা মানি না। আগে যারা ছিলেন, তারাই থাকবে।  

এ সময় তিনি শামীম হককে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বলেন, শামীম হক নতুন করে এখানে গেঞ্জাম(সংঘর্ষ) বাধানোর চেষ্টা করছে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টাও করছে। সুতরাং, প্রশাসনের উচিত অনতিবিলম্বে তাকে গ্রেপ্তার করা। তাকে গ্রেপ্তার না করলে ফরিদপুরে নতুন করে আরও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি গেঞ্জাম বাধানোর জন্য উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। সুতরাং তাকে গ্রেপ্তার করা হোক।  

এ কে আজাদ দেশের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি ২০১০ সালে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। সদ্য শেষ হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীকে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিবন্ধী প্রার্থী শামীম হক নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৮৯ ভোট।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।