ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

গণভবনে বৈঠক

জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২১ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২৪
জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত সোমবার ( ২৯ জুলাই ) বিকেলে গণভবনে ১৪ দলীয় জোটের বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং

ঢাকা: জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল।

সোমবার (জুলাই ২৯) বিকেলে গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ১৪ দলীয় জোটের এক জরুরি বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গণভবনের গেটে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘‌১৪ দলের এ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় জামায়াত শিবির গোষ্ঠীর অপশক্তির রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৪ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ মনে করেন বিএনপি, জামায়াত, ছাত্রদল, শিবির তাদের দোসর উগ্রবাদী জঙ্গি গোষ্ঠী বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে অকার্যকর করার ষড়যন্ত্র করছে। ’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অতিসম্প্রতি চোরাগোপ্তা হামলা করে এবং গুলি বর্ষণ করে সরকারের উপর দায় চাপাতে তারা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ মানুষ হত্যা করে লাশ পর্যন্ত ঝুলিয়ে রেখেছে। এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যে প্রক্রিয়ায় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা ইতিহাসে নজিরবিহীন। জাতীয় স্বার্থে দেশবিরোধী এ অপশক্তিকে নির্মূল করা প্রয়োজন। ’

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) সভাপতি হাসানুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘‌আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি জামায়াত শিবির সন্ত্রাসী গোষ্ঠী রাষ্ট্রের উপর আক্রমণ এখনো বন্ধ করেনি। তাই মনে করি বাংলাদেশের সাংবিধানিক ধারা, গণতান্ত্রিক ধারা, রাজনীতিকে রক্ষা করতে হলে বাংলাদেশের সন্ত্রাসী, জঙ্গি, সশস্ত্র গোষ্ঠীর রাজনীতি ধ্বংস করার লক্ষ্যে তা নিষিদ্ধ করা দরকার। ’

তিনি বলেন, ‘আজকে ১৪ দলের সভা থেকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে, জামায়াত শিবিরকে সংগঠনগত ভাবে নিষিদ্ধ করা হোক। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি, আশা করছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকার নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ’

বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘‌১৪ দল মনে করে আর সময় ক্ষেপণ না করে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তার মধ্যে দিয়ে এই দেশকে সামনের দিকে যাতে সন্ত্রাসী, জঙ্গি উত্থান না ঘটাতে পারে সেই ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে। ’

রাশেদ খান মেনন আরও বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছি। আমরা আশা করি প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। নিশ্চয়ই এক-দুই দিনের মধ্যেই এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পাব। ’

বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সভাপতি দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘‌আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা। বিভিন্ন ঘটনা পরম্পরা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন সেটা ঐতিহাসিক এবং জাতিকে বর্তমান যে ক্রান্তিকাল সেই ক্রান্তিকাল থেকে উত্তোরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২৪
এমইউএম/এসকে/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।