ফেনী: স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের একদফা আন্দোলনে ফেনীতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গুলিতে নিহত ৮ ছাত্রের পরিবারকে বিএনপির পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দিনভর দলটির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু শহীদদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্যসদের হাতে এ অনুদানের অর্থ তুলে দেন।
এ সময় সঙ্গে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ভিপি, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুন, সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাহেনা আক্তার রানু, শাহেনা আক্তার শানু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু তালেব, মশিউর রহমান বিপ্লব, কৃষকদলের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক শাহজান মিয়া সম্রাট।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এর মধ্যে প্রথমে বিএনপি নেতারা দাগনভূঞা উপজেলা জায়লস্কর ইউনিয়নের নিহত সারোয়ার জাহান মাসুদের কবর জিয়ারত করেন এবং তার বাবার হাতে অনুদানের অর্থ তুলে দেন। পরে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া এলাকার নিহত ওয়াকিল আহমেদ শিহাব, সাইদুল ইসলাম, সোনাগাজী উপজেলার জাকির হোসেন শাকিব, মাহমুদুল হাসান, ফুলগাজী উপজেলার ইশতিয়াক আহমেদ ও পরশুরাম উপজেলার ইকরাম হোসেনের কবর জিয়ারত ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপির) পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেন।
জেলার ৮ শহীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলাপকালে আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ ধরে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়েছে ছাত্রসমাজ। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বৈরাচারমুক্ত হলো বাংলাদেশ। যে স্বৈরশাসক মানুষের ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার ও স্বাধীনভাবে চলার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। বাংলাদেশের জনগণকে শাসনের নামে শোষন করে আসছিল। কিন্তু আমাদের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের রোষানলে পড়ে স্বৈরশাসক হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, যে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটলো। সে অভ্যুত্থান সফল হয়েছে অনেকগুলো তাজা প্রাণের বিনিময়ে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে অনেকেই নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যাও অগণিত। এ আন্দোলনে অংশ নিয়ে যারা নিহত হয়েছেন বর্তমান সরকারও এ নিহতের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করবেন।
আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, তাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এলে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ হতাহতের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে এবং এ আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্বীকৃতি দেওয়া হবে। যারা এ আন্দোলনে অংশ নিয়ে স্বৈরাচারমুক্ত করেছে তাদের সঙ্গে নিয়েই নতুন এক উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন- ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী হাবিবুল্লাহ মানিক, আনোয়ার পাটোয়ারী, দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আকবর হোসেন, সোনাগাজী বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, ফুলগাজী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক স্বপন, সদস্য সচিব আবুল হোসেন, ফেনী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এস এম কায়সার এলিন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাহ উদ্দিন মামুন, সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আলম, দাগনভূঞা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মনছুর আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন টিংকু, সোনাগাজী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক খুরশীদ আলম, দাগনভূঞা পৌর যুবদলের সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন সুজন ও দাগনভূঞা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইমুন ইসলাম রাজিব প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২৪
এসএইচডি/আরবি
