ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

পয়সা দিয়ে ভোট কেনা যায়, আস্থা পাওয়া যায় না: ড. কামাল হোসেন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২৪
পয়সা দিয়ে ভোট কেনা যায়, আস্থা পাওয়া যায় না: ড. কামাল হোসেন

ঢাকা: টাকা-পয়সা দিয়ে ভোট কেনা যায়, কিন্তু আস্থা পাওয়া যায় না। এমন মন্তব্য করেছেন গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

 

তিনি বলেছেন, আমরা সাময়িক সুবিধার জন্য রাজনীতি করি না। আমরা চাইলেই তথাকথিত মন্ত্রী হতে পারতাম। কিন্তু আমরা সেটা করছি না। কারণ আমরা চাই জনগণ সত্যিকার অর্থে ক্ষমতার মালিক হোক।  

তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু রাজনীতি করতে হলে জনগণকে বোঝাতে হবে, তোমরা দেশের পাহারাদার, তোমরা ভোটে অংশগ্রহণ করো। লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। তাদেরকে বিতাড়িত করতে হবে। লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে জনগণকে একত্রিত হতে হবে।  

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে গণফোরামের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

ড. কামাল হোসেন বলেন, সুষ্ঠু রাজনীতি করার জন্য প্রতিজ্ঞা আমরা করেছিলাম। সে প্রতিজ্ঞা আমরা ধরে রাখতে পেরেছি। আমরা কারো কাছে বিক্রি হইনি। এখানে যারা আছেন, তারা একজনও বিক্রি হননি।  

তিনি বলেন, মানুষের আস্থা নিয়ে আমরা ক্ষমতায় যাই। সে আস্থা যদি আমরা ধরে রাখতে না পারি, তাহলে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারব না। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠান ধরে রাখতে পারব কি না। আমরা তো টাকা দিয়ে নির্বাচন করি না, আমরা ভোট কিনে নির্বাচিত হই না।  

তিনি আরও বলেন, টাকা দিয়ে ভোট কিনে ক্ষমতায় আসার পর সেই টাকা ভাগবাটোয়ারা করা হয়। কিন্তু এতসব করেও একটা সময় ঠিকই পালিয়ে যেতে হয়। দেশে কেন থাকতে পারে না?  কারণ জনগণ জানে, তাদের হাতে বিচার করার ক্ষমতা আছে।  

দেশ থেকে অবিশ্বাস্য রকমের টাকা পাচার করা হয়েছে জানিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, এই টাকা দেশের জনগণের টাকা। আমরা সেই বঞ্চিত মানুষের পাশে আছি। জনগণের রাজনীতি হলো জনগণকে নিয়ে রাজনীতি করা।  

বিদেশে যারা টাকা পাচার করেছে তারা ভালো আছে কিন্তু দেশের মানুষের উন্নতি হয়নি উল্লেখ প্রবীণ এই নেতা বলেন, আমরা মানুষের উন্নতির জন্য রাজনীতি করছি। আমাদের লক্ষ্য দেশের সম্পদ দেশেই রাখা এবং জনগণের উন্নতি সাধন করা।  

জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের নিজ নিজ এলাকায় পাহারা দিতে হবে। এলাকার রাজনীতিবিদরা কী কাজ করছেন, তার হিসাব নিতে হবে।  

ড. কামাল হোসেন বলেন, ছাত্রসমাজ প্রমাণ করেছে, তারা কারো কাছে বিক্রি হয়নি। তারা জীবন দিয়ে দেশকে রক্ষা করেছে। তারা দেশ পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের মানুষ পরিশ্রম করে উৎপাদন বাড়াচ্ছে তবু সংকট কেন? আপনারা ঐক্যবদ্ধ হলেই দুর্নীতিবাজদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে পারব।

এ সময় গণফোরামের শীর্ষ নেতা সুব্রত চৌধুরী বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সব স্তরে রাজনৈতিক, সাংগঠনিক ও সামাজিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছি। দ্রুততম সময়ে ঐক্যবদ্ধ গণফোরামের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মহসীন মন্টুর সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এম আলতাফ হোসেন, ডা. মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২৪
ইএসএস/আরএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।