হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মো. আবু জাহির ও তার পরিবারের পাঁচ সদস্যের সম্পদ বিবরণী চেয়ে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে ছয়জনের নামে আলাদা আলাদা নোটিশ জারি করা হয়।
সাবেক এমপি আবু জাহির ছাড়াও নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন- তার স্ত্রী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলেয়া আক্তার, মেয়ে আরিফা আক্তার মুক্তি, ছেলে ইফাত জামিল, ছোট ভাই মো. আল আমিন এবং মো. বদরুল আলম।
ছয়জনকে আলাদাভাবে দেওয়া নোটিশে বলা হয়, নামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ও আয়ের উৎসের বিস্তারিত বিবরণ পরবর্তী ২১ দিনের মধ্যে দুদক হবিগঞ্জ কার্যালয়ে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হলো। এসময়ের মধ্যে বিবরণী দাখিল না করলে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ধারা ২৬ এর উপধারা ২ মোতাবেক তাদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. এরশাদ মিয়া বাংলানিউজকে জানান, ওই ছয় ব্যক্তি আত্মগোপনে থাকায় তাদের বাড়ির দেওয়ালে নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। সময়মতো বিবরণী দাখিল না করলে কমিশন আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
এর আগে গত ২২ জানুয়ারি দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আবু জাহির ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে অপরাধলব্ধ ১০ কোটির বেশি টাকার সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন হবিগঞ্জের স্পেশাল জজ জেসমিন আরা বেগম।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালানোর পর থেকে আবু জাহির ও তার পরিবারের সদস্যদের এলাকায় দেখা যায়নি।
দুদকের অভিযোগ, তার পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ১০ কোটি ১২ লাখ ৩৭ হাজার ৬৭৪ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এর মধ্যে বাড়ি, গাড়ি ও জায়গা রয়েছে। এসব সম্পদ মো. আবু জাহির, স্ত্রী আলেয়া আক্তার, ছেলে ইফাত জামিল, মেয়ে আরিফা আক্তার মুক্তি ও ছোট ভাই বদরুল আলমের নামে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২৫
এসআই