আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে গুম-খুনের শিকার পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি এমএ মালিক।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংলগ্ন হাইকোর্ট ভবনের প্রধান ফটকের সামনে মানবাধিকার সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন তিনি।
এ সময় সীমান্তে ক্রসফায়ারের ঘটনায় হত্যাকাণ্ড থামেনি উল্লেখ করে এম এ মালিক বলেন, “সীমান্তে এখনও মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, কিন্তু এসব ঘটনা কোনো সংবাদমাধ্যমে গুরুত্ব পাচ্ছে না। গুমের শিকার ব্যক্তিরা যতদিন ফিরে না আসবেন, আমি তাদের পরিবারের সন্তানদের পাশে থাকব। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় কাজ করব। যারা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, তাদের পরিবারের পৃষ্ঠপোষকতার দায়িত্ব আমরা নেব। ”
তিনি আরও বলেন, “গত ১৫ বছর দেশে গুম-খুনের ঘটনা অব্যাহত ছিল। কিন্তু সরকার পরিবর্তন হলেও তারা কেন ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না, সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। তাদের সন্তানরা লাঞ্ছিত ও অবহেলিত অবস্থায় আছে। আগের সরকারের সময় রাষ্ট্রটি একপ্রকার জেলে পরিণত হয়েছিল। ভারতীয়দের সহযোগিতায় তারা এক পাপের সরকার গঠন করেছিল। সেই সরকার সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ কাউকেই রেহাই দেয়নি। এমনকি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও ছাড়েনি। ”
দেশে এখনো ‘ভারতীয় প্রভাব’ চলমান বলে দাবি করে এমএ মালিক বলেন, “নির্বাচন বন্ধ রাখতে আরেকটি গোষ্ঠী ভারতের সঙ্গে আঁতাত করে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। বাংলাদেশের সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার পুনঃপ্রতিষ্ঠা যেন না হয়, তারা সেই পাঁয়তারা করছে। গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা না হলে দেশের অনেক সমস্যা থেকে যাবে, আইনের শাসনও প্রতিষ্ঠিত হবে না। একইসঙ্গে জুলাই-আগস্টের শহীদ ও আহতদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। ”
মানববন্ধনে সংগঠনটির সংগঠক সানজিদা ইসলাম তুলি বলেন, “জোরপূর্বক গুমের ঘটনাগুলোর দ্রুত তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়ায় অগ্রগতির দাবি জানাতেই আজকের এই আয়োজন। আমরা চাই গুমের শিকার পরিবারগুলো যেন আর রাজপথে দাঁড়িয়ে কাঁদতে না হয়, তাদের মুখে আবারও হাসি ফুটুক। ”
আয়োজনে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম-খুনের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনরাও উপস্থিত ছিলেন। তারা নিখোঁজ প্রিয়জনদের ফেরত চেয়ে সরকারের কাছে আহ্বান জানান এবং প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি তোলেন।
এসবিডব্লিউ/এমজেএফ