যশোর সদর উপজেলায় রূপদিয়ায় বিএনপি সমর্থিতদের ১৪টি ঘরবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও মারধরের ঘটনায় দলের নেতা-কর্মীরা জড়িত নন বলে দাবি করেছেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতারা।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান জানান তারা।
জেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতারা বলেন, পারিবারিক ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত রোববার (১৩ এপ্রিল) রূপদিয়া মধ্যপাড়ায় ভাঙচুর ও লুটপাট ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এ ঘটনায় জামায়াতকে জড়িয়ে রাজনৈতিক রূপ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে অভিযুক্ত খবির খানকে জামায়াত নেতা হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হলেও তিনি সংগঠনের কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি নন। তবে ১৩ এপ্রিল সংঘটিত ওই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
নেতারা জানান, হামলার খবর পেয়ে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন যশোর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রসুলসহ নেতা-কর্মীরা। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ৬০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে ১৩ এপ্রিল সংঘটিত ওই ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন ও রাজনৈতিক ফায়দা না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যশোর জেলা জামায়াতের নেতারা।
জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। এসময় জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালে রূপদিয়ার মধ্যপাড়ায় ১৪টি বাড়ি-ঘরে সন্ত্রাসীরা নির্বিচারে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল ৪০ থেকে ৫০ জন।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর দাবি, স্থানীয় জামায়াত নেতা-কর্মীরা এ হামলা চালায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২৫
এসআরএস