ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে আ.লীগ ফ্যাসিবাদ তৈরি করতে চাচ্ছে: এ্যানি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৫
ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে আ.লীগ ফ্যাসিবাদ তৈরি করতে চাচ্ছে: এ্যানি শুক্রবার বিকেলে লক্ষ্মীপুরে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি

লক্ষ্মীপুর: ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ভয়ংকর ফ্যাসিবাদ তৈরি করতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। সেজন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও বেশি তৎপর হতে বললেন তিনি।

 

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের আমানউল্ল্যাপুর আয়েশা দাখিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিনিধিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।  

সভায় শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার ৮ মাস হয়েছে। কিন্তু এখনো ঢাকায় ফ্যাসিবাদের ঝটিকা মিছিল হচ্ছে। হঠাৎ করে ঝটিকা মিছিল করে দৌড়ে পালিয়ে যায় তারা। যারা অপরাধী, ষড়যন্ত্রকারী, খুনি তারাই অপকর্মগুলো করছে। যেটা হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৬-১৭ বছর হয়েছে। এরা গণশত্রু, তাই পালিয়ে গেছে। হাসিনা পালিয়ে গেছেন ঠিকই, কিন্তু হাসিনার শিষ্যরা পালায়নি। কিন্তু সবাইকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে? 

তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত বিচার দৃশ্যমান না। দ্রুত বিচার করতে হবে। হাসিনার পরিবারের যারা এই দুঃশাসন, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল, যারা ওয়ার্ড, ইউনিয়ন পর্যায়ের গডফাদার হিসেবে চিহ্নিত ছিল, অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে দুঃশাসনের দেশ তৈরি করেছিল; তাদের বিচারও দৃশ্যমান করতে হবে। জনগণের স্পষ্ট বক্তব্য - আমরা দ্রুত দৃশ্যমান বিচার দেখতে চাই। আরেক দিকে সংস্কারও দেখতে চাই। নির্বাচনের জন্য সংস্কার খুব জরুরি।

বিএনপির এ নেতা বলেন, বিচারের মধ্য দিয়ে এ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ, এদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নাই। এরা হঠাৎ হঠাৎ ঝটিকা মিছিল করে। হঠাৎ করে এসে যদি এভাবে আবার ফ্যাসিবাদ কায়েম করে, তাহলে জনগণের দুর্ভোগ আছে। জনগণের ক্ষতি করার জন্য এরা আবার ওৎ পেতে আছে। আজ পর্যন্ত জনগণের সামনে এসে ভুল স্বীকার করে নাই। উল্টো হুংকার দিচ্ছে - ঝটিকা মিছিল করে দেখিয়ে দেবে।  

এ্যানি প্রশ্ন রাখেন, গত ৫ আগস্টের আগে যে সমস্ত অবৈধ অস্ত্র ছিল আওয়ামী লীগের হাতে, হেলমেট বাহিনীর হাতে- এগুলো উদ্ধার করেছে বর্তমান সরকার? ৫, ৬ তারিখে থানা লুট হয়েছে। এ লুটের অস্ত্র কী উদ্ধার হয়েছে? 

অবৈধ ও লুটের অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি তো স্বাভাবিক কারণেই হবে। ঝটিকা মিছিল যারা করে, এ অস্ত্রগুলো তারা আবার ব্যবহার করবে না? লুটের অস্ত্র এবং অবৈধ অস্ত্র দুটো মিলে তারা কিন্তু শক্তি সঞ্চয় করতে চায়। কিন্তু এ সুযোগ এ সরকার দিতে পারবে না। কারণ আমাদের আন্দোলনের ফসল এ সরকার। এজন্যই সরকারের কাছে আমাদের দাবি বেশি, প্রত্যাশা বেশি। অবিলম্বেই এ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। উদ্ধার না হলে এই অস্ত্র আমাদের বিরুদ্ধে আবার ব্যবহার হবে। প্রশাসন এখন পর্যন্ত সেটা করছে না। আমাদের বক্তব্য ও দাবি অনেক থাকবে। কিন্তু সত্যিকারের দাবিগুলো যদি মীমাংসা না করা হয়, তাহলে এদেশে ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবার কিন্তু ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ তৈরি করবে। এই সুযোগ দেশের মানুষ আর কখনো দেবে না, দিতেও চায় না। সেজন্য এই সরকারকে আরো বেশি তৎপর হতে হবে।  

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন সদর উপজেলা (পূর্ব) বিএনপির সদস্য সচিব মো. মোখলেছুর রহমান হারুন।  

বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আবুল কালাম হাওলাদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দের রহমান রায়হানের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা (পূর্ব) বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাঈন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ মো. এমরান, থানা যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৫
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।