ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২, ০৯ মে ২০২৫, ১১ জিলকদ ১৪৪৬

রাজনীতি

যমুনার কাছ থেকে সরে মঞ্চের সামনে অবস্থান বিক্ষোভকারীদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৩১, মে ৯, ২০২৫
যমুনার কাছ থেকে সরে মঞ্চের সামনে অবস্থান বিক্ষোভকারীদের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে থেকে সরে এসে মঞ্চের সামনে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার মাধ্যমে নিষিদ্ধ করার দাবিতে আন্দোলনরতরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে থেকে সরে এসে মঞ্চের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।

শুক্রবার (৯ মে) দুপুর ১২টায় যমুনার সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মঞ্চের দিকে আসেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ ও মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।

 

মঞ্চের সামনে এসে আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের জোরালো দাবি জানান। তারারা ‘ব্যান ব্যান, আওয়ামী লীগ ব্যান’, ‘চব্বিশের বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন।

জানা গেছে, আন্দোলনকারীরা মঞ্চের সামনেই জুমার নামাজ আদায় করবেন।

গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ। জনরোষের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশ থেকে পালান দলটির প্রধান শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের হিসাব মতে, ওই অভ্যুত্থানে হাসিনার নির্দেশে নিরাপত্তা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের হামলাসহ সহিংসতায় এক হাজার চারশ’ জন নিহত হন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই তাদের বিচার দাবিতে সোচ্চার ছিলেন অভ্যুত্থানে সক্রিয় ছাত্র-জনতা।

বুধবার (৭ মে) গভীর রাতে চুপিসারে আওয়ামী লীগ আমলের দুইবারের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের প্রেক্ষাপটে দলটির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জোরদার হয়। জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিভিন্ন প্লাটফর্ম এক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছার বিষয়েও প্রশ্ন তোলে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টায় যমুনার সামনে এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর ডাকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়।

এতে হাসনাতের দল এনসিপির পাশাপাশি যোগ দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবির, আপ বাংলাদেশ, জুলাই ঐক্য, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, কওমী মাদরাসার শিক্ষার্থী, ইনকিলাব মঞ্চসহ গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের নেতা-কর্মীরা। এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত হচ্ছেন।

সকালে ওই কর্মসূচি থেকে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বড় সমাবেশের ঘোষণা দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। এজন্য যমুনা ভবনের পাশেই মিন্টো রোড সংলগ্ন ফোয়ারার কাছে পাঁচটি ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়।

এদিকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এবং কাকরাইল মসজিদের দিক থেকে আসা রাস্তাগুলোতে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। এর ফলে ওই এলাকায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে দেখা গেছে।

ইএসএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।