বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা কঠিন ও অস্বাভাবিক সময় অতিবাহিত করছি। হাসিনা পালিয়ে গেছে, তার প্রেতাত্মারা এখনো আছে।
শনিবার (১০ মে) চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ড মাঠে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগের যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের সমন্বয়ে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার’ প্রতিষ্ঠার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
‘আপনারা সংস্কার সংস্কার বলছেন, কিন্তু প্রথম সংস্কার করেছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শাহাদাতের পর নয়টি বছর পথে-ঘাটে ঘুরে ফিরে আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছিলেন। কিছু কিছু মানুষ সব ভুলে যায়। শুধু সুন্দর সুন্দর মুখরোচক কথা বললেই জাতি বোধ হয় সব ভুলে যাবে। তাদের বলব, আজকে সমাবেশটা দেখে যান, আপনাদের সম্বিৎ ফিরে এলে জাতি উপকৃত হবে। সোজা হিসাব বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র ও অধিকারকে প্রয়োগ করতে চায়। আমাদের তরুণরা চাকরি, ব্যবসা ও কর্মসংস্থান চায়। আমাদের মায়েরা ছেলেদের লেখাপড়া শেখাতে চায়।
তরুণরা জেগে উঠেছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মাথা ঠান্ডা রেখে সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিতে হবে। আধুনিক ও উপযোগী একটি বাংলাদেশ করার শিক্ষা দিচ্ছেন আমাদের নেতা তারেক রহমান। এই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিক্রি করে আমরা কোনভাবেই কোনো কিছু করতে দেব না। বাংলাদেশের প্রশ্নে আমরা আপোস করবো না। তাই আমাদের নেতা বলেছেন, সবার আগে বাংলাদেশ। তিনি বলেছিলেন, ফয়সালা হবে রাজপথে।
স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানীর সভাপতিত্বে এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনয়িক তামিম ইকমাল, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন ও ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ।
এমআই/টিসি/এমজেএফ