ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৫ মহররম ১৪৪৭

রাজনীতি

ভারত না গিয়ে দেশি নার্স-ডাক্তারদের মান বাড়ানোর দাবি রিজভীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৫০, মে ১২, ২০২৫
ভারত না গিয়ে দেশি নার্স-ডাক্তারদের মান বাড়ানোর দাবি রিজভীর

ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, কেন ডলার খরচ করে ইন্ডিয়াতে যাবো? তারা প্রতিমুহূর্তে আমাদের নিয়ে নেগেটিভ বয়ান তৈরি করে অপপ্রচার করছে। তাদের পেছনে ডলার খরচ না করে তা আমাদের নার্স-ডাক্তারদের পেছনে খরচ করলে ইন্ডিয়ায় যাওয়ার দরকার পড়ে না।

 

সোমবার (১২ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল একজন মহীয়সী নারী ছিলেন। একজন ধনী পরিবারের মেয়ে হয়ে তিনি সমাজকল্যাণের কাজে নেমে আসেন। তিনি মানুষের সেবার জন্য নার্সিং পেশা চালু করেন। তিনি শত্রু-মিত্র সবার সেবা করেছেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাকে হাসপাতালে যেতে হয়েছে সেটি রাজনৈতিক কারণে, সেখানে নার্সিংয়ের রূপ, তাদের সেবা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ সেবা, মায়ের সেবা। একজন নার্স মায়ের সেবা হিসেবেই দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু আমাদের দেশে তাদের প্রতি বৈষম্য দেখানো হয়। এমনকি নার্সদের আবাসন সুবিধা নেই। নিজের বেতন থেকে বাসা ভাড়া দিতে হয়। আমাদের যেমন ভালো ডাক্তার দরকার, তেমনি নার্সদের যে লজিস্টিক সাপোর্ট দরকার সেটি দিতে হবে।

‘উড়াল সেতু, মেগা প্রজেক্ট কি চিবিয়ে চিবিয়ে খাবো নাকি? যে দেশের মানব উন্নয়ন হয় না, সে দেশ কখনো সামনে এগিয়ে যেতে পারে না। লুটপাট ও পাচার হওয়া টাকার অর্ধেক স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করলে দেশ উন্নতি লাভ করত। করোনার সময় স্বাস্থ্যখাতে অনিময় হয়েছে, যার নায়ক দরবেশ এখন জেলে আছেন। ’

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘জানি না এবারের বাজেটে স্বাস্থ্যখাত কিভাবে দেখা হবে, অথচ অত্যন্ত জরুরি এই সার্ভিসটা। কেন আমি ডলার খরচ করে ইন্ডিয়াতে যাবো? কেন তাদেরকে টাকা দিয়ে আসবো? তারা প্রতিমুহূর্তে আমাদের নিয়ে নেগেটিভ বয়ান তৈরি করে অপপ্রচার করছে। তাদের পেছনে যদি এই আমরা ডলার খরচ না করে এই টাকাগুলো যদি আমাদের নার্স-ডাক্তারদের পেছনে খরচ করি, তাহলে ইন্ডিয়ায় যাওয়ার তো কোনো কারণই থাকতে পারে না। ডাক্তারদের লজিস্টিক সাপোর্ট ঠিক করতে পারলেই তো কেউ ওই ( ইন্ডিয়া) দিকে যেতো না । সেই কাজগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের করা দরকার ছিল। ’

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, জাহানারা পারভিন, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, জাহিদুল কবির, ছাত্রদলেরসহ সভাপতি তৌহিদুর রহমান আউয়াল প্রমুখ।

টিএ/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।