পূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকার অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
বুধবার (২ জুলাই) সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এক বিবৃতিতে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং অংশগ্রহণকারী সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি অভিবাদন জানিয়ে এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ছাত্র-জনতার ব্যাপক অংশগ্রহণ ও বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে সৃষ্ট অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানে সহস্রাধিক মানুষের জীবনের বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। গণতন্ত্র ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠাই চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের সাধারণ আকাঙ্ক্ষা। এই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের পথ ধরেই আমাদের অগ্রসর হতে হবে। এই কাজ সম্পন্ন করতে বিলম্ব হলে নানা ধরনের অপশক্তি দেশকে নানাভাবে অস্থিতিশীল করতে চাইবে। এজন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে দল-নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ইতিমধ্যে সরকারের কিছু ভূমিকা নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা যায়নি। এ ব্যাপারে সরকারকে দায়িত্বশীল ভূমিকা নিয়ে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হতে হবে।
তারা আরও বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে যেসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, তার সঙ্গে জড়িত ও নেপথ্যের হোতাদের বিচার কাজ দৃশ্যমান করা, নিহতদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন এবং প্রয়োজনীয় ন্যূনতম সংস্কার করে দ্রুততম সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবি জানান। চব্বিশের বিজয়ের পর আমরা বলেছিলাম, জনগণের বিজয় যাতে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত না হয়, সেজন্য দেশবাসীকে সচেতন থাকতে হবে। পূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকার অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে। ওই সময় আমরা সারা দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা রক্ষায় সবাইকে ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলাম। আজও এই আহ্বান প্রাসঙ্গিক হয়ে আছে।
বিবৃতিতে যথাযথ মর্যাদায় আগামী ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান দিবস এবং তার আগে নানামুখী কর্মসূচির মাধ্যমে জুলাই-আগস্ট দেশব্যাপী কর্মসূচি পালন করতে পার্টির বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শাখার প্রতি আহ্বান জানান সিপিবির শীর্ষ নেতারা।
আরকেআর/এমজে