ঢাকা: গত ৯ জুলাই বুধবার সন্ধ্যায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে যুবদল নেতাকর্মীদের হাতে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে প্রকাশ্য দিবালোকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি।
বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টির আহ্বায়ক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আমীন ও সদস্য সচিব ফাতিমা তাসনিম যৌথ বিবৃতিতে এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
নেতারা বলেন, চকবাজারের এ নির্মম হত্যাকাণ্ডে আমরা স্তম্ভিত, ক্ষুব্ধ ও গভীরভাবে শোকাহত। অবিলম্বে এ নৃশংসতার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে যুবদল নেতাকর্মীরা পিটিয়ে, উপর্যুপরি আঘাত করে এবং ইট-পাথর দিয়ে মাথা ও পুরো শরীর থেঁতলে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের পর নিথর দেহের সামনে ঘাতকদের তাণ্ডব নৃত্য আদিম বর্বরতাকেও হার মানায়, যা সভ্যসমাজে কল্পনাতীত এবং সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য।
নেতারা মনে করেন, এ ধরনের ঘটনা শুধু একজন ব্যক্তির ওপর হামলা নয়, এটি মানবতা, আইন, ন্যায়বিচার ও রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলার চরম লঙ্ঘন ও সরাসরি আঘাত। এভাবে জনসমক্ষে প্রকাশ্য দিবালোকে একজন মানুষকে হত্যা করা শুধু নৃশংসতাই নয়, এটি সমাজ ও রাষ্ট্রের ভিত্তিকে নাড়িয়ে দিয়েছে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে জাতিকে হেয় করেছে। এ ঘটনা স্পষ্ট করে তুলেছে যে দেশের নাগরিক নিরাপত্তা ও আইনের শাসন চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ।
নেতারা আরও বলেন, এটি এক ভয়াবহ সামাজিক বিপর্যয়ের বার্তা, যেখানে অপরাধীরা মনে করে তারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এমন বার্তা রাষ্ট্র ও সমাজ কোনোভাবেই মেনে নিতে পারে না। আমরা এ পাশবিক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং জোরালোভাবে এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ঘাতক ও এর মদদদাতাদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। আমরা চাই দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। আরও নিশ্চিত করা হোক, যেন ভবিষ্যতে আর কোনো ঘাতক এমন অন্যায় করার সাহস না পায়।
জেএইচ