খুলনা: মোটরসাইকেলে করে আসা তিন ব্যক্তি গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা খুলনার দৌলতপুর থানা যুবদলের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান মোল্লাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এতে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যান।
রোববার (১৩ জুলাই) দুপুরে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর আতাহার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাহবুবুর মোল্লাকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় প্রতিবেশী সজলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (১২ জুলাই) রাত সোয়া ২টার দিকে দৌলতপুর থানাধীন মহেশ্বরপাশা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেননি। তবে মাহাবুবের অবস্থান সম্পর্কে হত্যাকারীদের যাবতীয় তথ্য দিয়েছেন। তার তথ্যের ওপর নির্ভর করে দুর্বৃত্তরা মাহবুবকে নির্মমভাবে গুলি এবং পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে সজল অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশে উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) তাজুল ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ডের সময়ে সজল খুব কাছাকাছি থেকে দুর্বৃত্তদের খবর আদান-প্রদান করেছেন, এটা নিশ্চিত হয়েই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সজলকে রিমান্ডে নিলে মাহবুব হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসবে।
গত শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে মহানগরীর দৌলতপুর থানাধীন মহেশ্বরপাশা পশ্চিম পাড়া এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন সাবেক যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান মোল্লা। মাহবুব মোল্লা তখন তার নিজ বাসার গেটে প্রাইভেটকার ধোয়ামোছার কাজ করছিলেন, ওই কাজে তাকে সাহায্য করছিলেন একই এলাকার ভ্যানচালক গাজী সোলায়মান নামের এক যুবক।
এ সময় মহেশ্বরপাশা পশ্চিমপাড়া সড়কের দক্ষিণ দিক হতে মোটরসাইকেলযোগে অজ্ঞাতনামা ৩ দুর্বৃত্ত মাহবুবকে লক্ষ্যে করে ৬/৭ রাউন্ড পিস্তলের গুলি ছোঁড়ে। গুলি মাহবুবের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে লাগে। গুলির শব্দ শুনে মাহবুবের সঙ্গে থাকা ভ্যানচালক পালিয়ে গেটের ভেতর গেলে তাকেও লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে দুর্বৃত্তরা। তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও মাহবুব গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটে পড়লে দৃর্বত্তরা তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে পায়ের দুই রগ কেটে দেয়। সন্ত্রাসীদের গুলি তার বাড়ির প্রাচীর, মূল প্রবেশদ্বারসহ আশপাশের ভবনে গিয়ে লাগে।
মাহবুব মোল্লার বিরুদ্ধে দৌলতপুরসহ বিভিন্ন থানায় মাদক, মারামারিসহ বিভিন্ন অপরাধে ৮টি মামলা রয়েছে। চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের সময় রাম দা হাতে অবস্থান নেওয়ায় মাহবুবুর রহমানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এমআরএম