ঢাকা: সাত দফা দাবিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এককভাবে সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী। পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুর ২টায় অনুষ্ঠানিকভাবে এ জাতীয় সমাবেশ শুরু হয়। এর আগেই সভামঞ্চে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী পরিবেশনা করেন।
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ‘জাতীয় সমাবেশ’ আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় সমাবেশে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে এক লড়াইয়ের পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরেক লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, পুরোনো ব্যবস্থাপত্রে বাংলাদেশ আর চলবে না
জামায়াত আমির বলেন, যারা বস্তাপঁচা ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশকে নিতে চান, তাদের আমরা বলি, জুলাইযুদ্ধ করে যারা জীবন দিয়েছে, আগে তাদের জীবনটা ফেরত এনে দেন। যদি শক্তি থাকে ফেরত এনে দেন। আপনারা পারবেন না। যেহেতু পারবেন না, কাজেই নতুন ব্যবস্থায় নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে ইনশাল্লাহ।
এসময় তিনি বলেন, আগামীর বাংলাদেশটা কেমন হবে? আমি বলি আরেকটা লড়াই হবে ইনশাল্লাহ। একটা লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ইনশাআল্লাহ। এই দুর্নীতির মূলোৎপাটন করার জন্য যা দরকার, আমরা তারুণ্য এবং যৌবনের শক্তিকে একত্রিত করে সেই লড়াইয়েও জিতব ইনশাল্লাহ।
বক্তব্যের শুরুতে জামায়াতের আমির বলেন, যাদের ত্যাগ এবং কুরবানির বিনিময়ে, স্বৈরাচারের কঠিন অন্ধকার যুগের যাঁতাতলে পিষ্ঠ হয়ে যারা তিলে তিলে দুনিয়া থেকে নির্যাতিত হয়ে বিদায় নিয়েছেন, অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিদায় নিয়েছেন, যারা লড়াই করে আহত হয়েছেন, পঙ্গুত্ববরণ করেছেন; আমরা তাদের সবার কাছে গভীরভাবে ঋণী। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অস্তিত্ব যতদিন থাকবে, আল্লাহ যেন তাদের ঋণ পরিশোধ করার শক্তিটাও ততদিন আমাদের দান করেন।
‘শহীদ আবু সাঈদরা যদি বুক পেতে না দাঁড়াতো, এ জাতির মুক্তির জন্য যদি বুকে গুলি লুফে না নিত, হয়তো আজকের এই বাংলাদেশটা আমরা দেখতাম না। ইতোমধ্যে হয়তো আরও অনেক মানুষের জীবন ফ্যাসিবাদীদের হাতে চলে যেত। ২৪-এ জীবনবাজি রেখে যুদ্ধটা যদি না হতো তাহলে আজকে যারা বিভিন্ন ধরনের কথা এবং দাবি-দাওয়া পেশ করছেন, তারা তখন কোথায় থাকতেন?’
জাতীয় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এ টি এম আজহারুল ইসলাম, নায়েবে আমির সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, নায়েবে আমির সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও সাবেক এমপি ড. হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মো. সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন সরকার, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম, অন্যতম জুলাই যোদ্ধা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি সাদিক কাইয়ুম।
আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আবদুল কাদের, গণঅধিকার পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হক নূর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, নেজামে ইসলামের মহাসচিব মুসা বিন ইযহার, জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব ডা. গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, খেলাফত আন্দোলনের আমির আবু জাফর কাসেমী, জাগপার সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ড. ফয়জুল হক, কয়েকটি শহীদ পরিবারের সদস্যরা এবং কয়েকজন জুলাই যোদ্ধা।
সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিমের যৌথ পরিচালনায় জাতীয় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির, সাবেক এমপি মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম, মাওলানা আবদুল হালিম, অ্যাডভোকেট মোয়াযযম হোসাইন হেলাল ও মাওলানা মুহাম্মাদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, আবদুর রব, অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দিন, অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ ও মোবারক হোসাইন প্রমুখ।
জাতীয় সমাবেশে আজহারুল ইসলাম বলেন, মানুষের তৈরি আইন দিয়ে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না, বরং আল্লাহর দেওয়া আইনই পারে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে।
তিনি বলেন, আমি ১৪ বছর জালেম সরকারের কারাগারে বন্দি ছিলাম, আমাকে ফাঁসির কাছে ঝোলানোর সমস্ত আয়োজন করা হয়েছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি বেঁচে ফিরেছি। জুলাই-আগস্টের বিপ্লবী ভাইদের রক্ত, ত্যাগ ও কোরবানির বিনিময়ে দেশ নতুন স্বাধীনতা অর্জন করেছে, আর আমিও বাংলাদেশের কারাগার থেকে মুক্ত আকাশে আপনাদের সামনে হাজির হতে পেরেছি।
তিনি সরকারের কাছে জোর দাবি জানান, কারাগারে শহীদ হওয়া ১০ জন ভাইয়ের (পাঁচজন ফাঁসির মঞ্চে এবং পাঁচজন বিনা চিকিৎসায়) হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির বিধান করতে হবে এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
শহীদদের বিষয় উল্লেখ করে আজহারুল ইসলাম বলেন, তারা বাংলাদেশে ইসলামী হুকুমত কায়েমের আন্দোলন করছিলেন, বাংলাদেশের আধিপত্য শক্তির হাত থেকে দেশকে রক্ষার আন্দোলন করেছিলেন এবং শোষণ, জুলুম, নির্যাতনের হাত থেকে ১৮ কোটি মানুষকে মুক্তির আন্দোলন করেছিলেন। এটাই ছিল তাদের অপরাধ।
আজহারুল ইসলাম বাংলাদেশের ৫৪ বছরের শাসন ব্যবস্থার সমালোচনা করে বলেন, এ ৫৪ বছরে বাংলাদেশের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় নাই, জনগণের নেতার পরিবর্তন হয়েছে, তাদের অনেক বাড়ি-গাড়ি হয়েছে, কিন্তু জনতার পরিবর্তন হয় নাই।
তিনি বলেন, মানুষের তৈরি আইন দিয়ে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না, বরং আল্লাহর দেওয়া আইনই পারে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে।
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব ড. গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি– উভয় প্রধান রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধেই হিন্দু সম্প্রদায়কে বঞ্চনা ও প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীকে একটি আদর্শিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে উল্লেখ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা ও পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের দাবি জানান।
ড. প্রামাণিক তার বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব অস্বীকার করার অভিযোগ তুলে বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের কাছে রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে ছিলাম। ১৯৫৪ সালে যেদিন আওয়ামী লীগ গঠন হয়েছে সেইদিনই তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব অস্বীকার করে। প্রতিনিধিত্বকে ধ্বংস করার জন্য উদ্দেশ্য নিয়েই আওয়ামী লীগ গঠন হয়েছে, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি তারা প্রতারণা করেছে।
সমাবেশে শহীদ শাহরিয়ার হাসান আলভির বাবা সরকারের প্রতি স্পষ্ট হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আপনারা জুলাই মাসের মধ্যেই জুলাই সনদ ঘোষণা করবেন। আর দুই হাজার মায়ের সন্তান দেশের জন্য আজকে জীবন দিল, আপনারা খুনিদের বিচার দ্রুত করুন। বিচার নিয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো টালবাহনা করবেন না।
আলভির বাবা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আজকে ফ্যাসিবাদীর দোসরদের পুনর্বাসন করছে।
তিনি অভিযোগ করেন যে, তার ছেলের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা করা হলেও পুলিশ এখনো আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না। তিনি বলেন, হাসিনার আমলে যে পুলিশ নিয়োগপ্রাপ্ত ছিল, যারা চাকরিতে ছিল তারা এখনো পর্যন্ত চাকরি করছে। তারা কীভাবে আমাদের সেই হত্যাকারীদের ধরবে।
তিনি পুলিশের কার্যক্রমে হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, আসামিদের ধরার কথা বললে তারা ‘যাচ্ছি, যাব’ বলে টালবাহনা করছে।
আলভির বাবার মতে, আমি মনে করছি এগুলো সব সরকারের টালবাহনা এবং সরকারের অবহেলা। আমি শহীদদের বিচার এবং জুলাই সনদ দ্রুত ঘোষণার আহ্বান জানাচ্ছি।
আলভির বাবা বলেন, ‘আমার ছেলে গত আগস্টের ৪ তারিখ মিরপুর ১০ নাম্বারে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয়েছিলেন। অত্যান্ত দুঃখের বিষয় আজকে একটি বছর অতিবাহিত হয়ে গেল। আমরা এখনো পর্যন্ত বিচারের ন্যূনতম কিছু দেখতে পাচ্ছি না।
তিনি এ অবস্থাকে ‘বিচারের নামে প্রহসন’ এবং ‘বিচারের নামে টালবাহনা’ বলে অভিহিত করেন।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী এবং গত ২৪ জুলাইয়ের আন্দোলনের যুদ্ধাহত এস এম মোস্তাফিজুর রহমান দাবি করেছেন, ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটাতে তারা একমাত্র মহান আল্লাহর সাহায্যেই সফল হয়েছেন।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের কিছুই করার ক্ষমতা নেই যদি আল্লাহ তায়ালা আমাদের উত্তম সাহায্যকারী না হন। আল্লাহ যথেষ্ট আমাদের জন্য সাহায্যকারী হিসেবে, আল্লাহই যথেষ্ট আমাদের জন্য অভিভাবক হিসেবে। মহান আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত আমাদের সাহায্যকারী হয়েছিলেন, অভিভাবক হয়েছিলেন। তাই এ ২৪ জুলাইয়ের আন্দোলন সফল করতে পেরেছি। আল্লাহর ক্ষমতা ছাড়া আমাদের কোনো ক্ষমতা নেই।
গত জুলাইয়ে ইন্টারনেট শাটডাউনের সময়ে দেশজুড়ে গণহত্যার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, প্রতিটা জায়গায় বলা হয়েছিল ইন্টারনেট এমনি এমনি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
তিনি সেই সময়ের কথা উল্লেখ করেন যখন ‘শিবির সন্দেহে’ সনাতন ধর্মাবলম্বী বিশ্বজিৎকে দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শিবির করা কোনো অপরাধ না। কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থন দেওয়া কোনো অপরাধ না। শিবির ট্যাগ দিয়ে সাধারণ মানুষ, সাধারণ ছাত্রদের ওপর অত্যাচার, নিপীড়ন চালানো হয়েছে প্রতিটা বছর।
১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ আবু সাঈদের ভাই রমজান আলী বলেন, ভাইয়ের শাহাদাতের বিচার না পেলে আমার ভাইদের ফিরিয়ে দিন।
তিনি বলেন, আমি আজকে এ সমাবেশে উপস্থিত হয়েছি শুধু একটি দাবি নিয়ে। সেটা ১৬ জুলাই যখন শহীদ আবু সাঈদ দুই হাত প্রসারিত করে পুলিশের সামনে যে জীবন দিয়েছিল, যেই কারণে সেই কারণের বাস্তবতা কি আমরা আজকে পেয়েছি নাকি? সেই শহীদ ভাইয়ের বিচার যদি আমরা না পাই, তাহলে আমাদের এই শহীদ ভাইদের ফিরিয়ে দিন।
শহীদ ভাইদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত অধিকার ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়ে রমজান আলী বলেন, আজকে দীর্ঘ এক বছর পেরিয়ে গেল কিন্তু আজ পর্যন্ত আমরা একটি শহীদ ভাইয়ের বিচার পাইনি, এ বাংলার মাটিতে। আমাদের শহীদ ভাইদের বিচারের দরকার আছে কি নাই? আমি মনে করি নির্বাচনের আগে আমাদের এ শহীদ ভাইদের বিচার করতে হবে। এর আগে বাংলাদেশে আর কোনো নির্বাচনের দরকার নেই। ফ্যাসিবাদ সরকারের দোসররা জায়গায় জায়গায় ঘাঁটি গেড়ে আছে, তারা পাঁয়তারা করছে।
তিনি বলেন, যদি শহীদ ভাইদের বিচার হয় এবং ফ্যাসিবাদী শক্তি বিচারের আওতায় আসে, তাহলেই বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে এবং মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে আসবে।
টিএ/আরআইএস