ঢাকা: এখনো সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দিশালায় বাংলাদেশি অন্তত ২৬ জন আটক রয়েছেন। দ্রুত তাদের ওপর সব অভিযোগ প্রত্যাহার করে মুক্তির উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
সোমবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির ডায়াস্পোরা অ্যালায়েন্সের গ্লোবাল কো-অর্ডিনেটর তারিক আদনান মুন এ দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আরব আমিরাতে যারা বন্দি তারা গত বছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশের গণআন্দোলনের সময় সংহতি জানিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে একটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট অপরাধের অভিযোগ নেই। তবুও তারা দীর্ঘ আট থেকে নয় মাস ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন বন্দিশালায় আটক রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ আছে যে, বাংলাদেশ দূতাবাসের সরবরাহকৃত তথ্যের ভিত্তিতেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এটি একটি অগ্রহণযোগ্য ঘটনা—একটি গণতান্ত্রিক দেশের প্রবাসী নাগরিকদের মতপ্রকাশের অধিকার হরণ এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। দেশের নাগরিকদের রক্ষার পরিবর্তে দূতাবাস তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে—যা আমাদের সংবিধান, আন্তর্জাতিক আইন এবং কূটনৈতিক দায়িত্বের পরিপন্থি।
এ সময় সরকার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে তারা দুই দফা দাবি করেন।
দবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, অবিলম্বে সব অভিযোগ প্রত্যাহার করতে হবে এবং একটি কনস্যুলার কমিউনিকেশন চ্যানেল স্থাপন করতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কূটনৈতিক ও আইনি উদ্যোগ নিয়ে ২৬ জন বন্দিকে মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
তারিক আদনান মুন বলেন, এ ২৬ জন মানুষ কারাবন্দি থাকায় তাদের পরিবার বাংলাদেশে চরম দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছেন—আর্থিক সংকট, মানসিক দুশ্চিন্তা, সন্তানদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। তাদের অপরাধ শুধুমাত্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি ভালোবাসা ও সমর্থন জানানো। রাষ্ট্র তাদের মুক্ত করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মাহাবুব আলমসহ বন্দি প্রবাসীযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা।
এফএইচ/আরআইএস