ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ ভাদ্র ১৪৩২, ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

রাজনীতি

জামায়াত-শিবির ছাত্রদলের মেয়েদের নিয়ে কুৎসা রটাচ্ছে: আবিদুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:২০, আগস্ট ২৫, ২০২৫
জামায়াত-শিবির ছাত্রদলের মেয়েদের নিয়ে কুৎসা রটাচ্ছে: আবিদুল বক্তব্য দিচ্ছেন আবিদুল ইসলাম খান

জামায়াতে ইসলামি এবং ছাত্রশিবির ৫ আগস্টের পর থেকে ছাত্রদলের মেয়েদের নিয়ে কুৎসা রটাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবিদুল ইসলাম খান।

সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে ডাকসু কার্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন।

আবিদুল ইসলাম খান বলেন, গতকাল আমরা ডাকসুতে নির্বাচনের বিষয়ে কথা বলতে মেয়েদের নিয়ে বসেছিলাম। সেখানে আমি একটি সেলফি ভিডিও করেছিলাম। অত্যন্ত আশঙ্কার বিষয়, সেখানে কিছু আইডি থেকে কমেন্ট করা হয়েছে ‘রাতের রানী’। পরে সেই আইডিতে গিয়ে দেখি, সে লিখছে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি জিন্দাবাদ’। এই যে জামায়াতে ইসলামি এবং ছাত্রশিবির ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে নারীদের নিয়ে কুৎসা রটাচ্ছে, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে ছাত্রদলের মেয়েদের নিয়ে যে ধরনের নোংরা চর্চা করেছে, সেটি ইসলাম এবং অন্য কোনো ধর্মে স্বীকৃত নয়। সুতরাং ইসলামের নামে নারীদের বিরুদ্ধে যে ধরনের অপপ্রচার আপনারা এখনো অব্যাহত রেখেছেন, আপনাদের করজোড়ে আহ্বান জানাচ্ছি- আপনারা এই জায়গা থেকে সরে এসে সহনশীলতার রাজনীতিতে ফিরে আসুন।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একটি মেয়ের বৈধ হল আইডি কার্ড থাকার পরেও সে ইচ্ছা করলে তার আরেকটি বান্ধবীর হলে যেতে পারে না। এটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কালো আইন, ডাইনোসর যুগের আইন। এরই মধ্যে দেখতে পেলাম এই আইনটি শিথিল করা হয়েছে। এক হলের প্রার্থী আরেক হলে প্রচার-প্রচারণা করতে পারবে। কিন্তু সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে শুরু হবে। এরই মধ্যে দেখতে পেলাম, গতকাল (রোববার) রাত ১টা ১৫ মিনিটে একজন হেভিওয়েট ভিপি প্রার্থী মেয়েদের বিভিন্ন হলে ঘুরে ঘুরে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। এজন্য তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু যে ঘটনা আইন বৈধতা দেয় না, সেই ঘটনা ঘটিয়ে আপনারা যদি ক্ষমা চান, তাহলে অন্য প্রার্থীরাও বলবে, আমি একটি ঘটনা ঘটিয়ে নেই, তারপর ক্ষমা প্রার্থনা করব। এভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন করা কোনোভাবেই আইনের সঙ্গে যায় না, নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের সঙ্গে যায় না। আশা করি, নির্বাচন কমিশন এটা নিয়ে তাদের বক্তব্য সুস্পষ্ট করবে।  

এই ছাত্র নেতা বলেন, মেয়েদের বিভিন্ন হলে আমরা জানতে পারছি, বিভিন্ন প্যানেলের নেতারা শিক্ষার্থীদের নিয়ে খাবারের পার্টি করে বেড়াচ্ছেন। যেটা কোনোভাবেই নির্বাচনী আচরণবিধির সঙ্গে যায় না। আশা করি, নির্বাচন কমিশনে যারা আছেন, তারা এই বিষয়গুলো তদন্ত করবেন এবং এগুলো যেন না ঘটে, সেই বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

হলগুলোতে বিভিন্ন গুপ্ত সংগঠন জুন ভিত্তিক রাজনীতি করে ডামি প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। এগুলো বের করে আনার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান আবিদুল।  

আবিদুল আরও বলেন, আগামীকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হচ্ছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে বলেছি, এই যে হলভিত্তিক প্রচার-প্রচারণা হবে, সেগুলো কোন পদ্ধতিতে হবে সেটির একটি ফর্মুলা আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হোক। কিন্তু সেটি তারা করেনি। এটি প্রকাশ না করার কারণে আমরা যেভাবেই প্রচার-প্রচারণা করতে যাই না কেন, বিভিন্ন গুপ্ত সংগঠনের সদস্যরা আমাদের নিয়ে মব করার আশঙ্কা রয়েছে। তাই অতিদ্রুত আমরা হলগুলোতে কোন কোন পদ্ধতিতে নির্বাচনী প্রচারণা চালাব, সেটি প্রকাশ করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

এসসি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।