ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২, ২৯ আগস্ট ২০২৫, ০৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

রাজনীতি

প্রশাসন একটি দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করছে: সাদিক কায়েম

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৩৪, আগস্ট ২৮, ২০২৫
প্রশাসন একটি দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করছে: সাদিক কায়েম ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে একটি দলের প্রতি নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতিত্ব করছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলকে ইঙ্গিত করে তিনি এ কথা বলেন।

এছাড়া নির্বাচিত হয়ে আসলে সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদ নির্মূল করবেন বলেও জানান তিনি।

সাদিক কায়েম বলেন, একটি দলের প্রতি প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণ দেখে আমরা বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, রাত ১১টার পর কোনো ধরনের প্রচারণা করা যাবে না। কিন্তু একজন প্রার্থী রাত সাড়ে ১২টার পরও শিক্ষার্থীদের রুমে রুমে গেছেন। নির্বাচন কমিশন এসব বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক আজাদি পেলেও আমরা সাংস্কৃতিক আজাদি পাইনি। বাঙালি জাতীয়তাবাদ নামে আমাদের ওপর ব্রাক্ষণ্যবাদী কলকাতার সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ইসলামী সংস্কৃতি ও প্রতীকগুলোকে কর্নার করা হয়েছে। সেগুলোকে ক্রিমিনালাইজ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০২৩ সালে বটতলায় শিক্ষার্থীরা কোরআন তেলাওয়াতের আসর করেছিল। এ আয়োজনের সঙ্গে জড়িতদের শোকজ দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আমরা নির্বাচিত হয়ে আসলে এসব সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদ চলবে না।

সাদিক বলেন, মুজিববাদের কালো ছোঁয়া থেকে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় কালচারাল ফ্যাসিস্টরা ষড়ন্ত্রমূলক পরিকল্পনা করছে। বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি নিয়ে আসতে জুলাইয়ের শহীদদের স্মৃতিগুলো নিয়ে আসতে হবে। গত একবছর ধরে আমরা তাদের কাছে গেছে।

বাংলাদেশে মুসলামান, হিন্দু, চাকমা, মারমা-তার নির্ভয়ে চর্চা করতে পারবে। কোনো পরিচয়ের কারণে কাউকে আদারিং করা হবে না। সবাই সবার সংস্কৃতি নির্ভয়ে চর্চা করতে হবে। বৈচিত্রের মধ্যে একধরনের ঐক্য হবে। সেটা নিশ্চিত করাই আমাদের উদ্দেশ্য।

আরেক প্রার্থী রায়হান উদ্দিন বলেন, আমরা নির্বাচিত হলে বিশ্ববিদ্যালয় দেখতে কেমন হওয়া উচিত ছিল, তা উদ্ভাবন করব। আমাদের শিক্ষার্থীদের একটি বড় ক্রাইসিস থাকে দুবেলা দুমুঠো খাবার খাবে কীভাবে? শিক্ষার ব্যয় কীভাবে নির্বাহ করবে?

এ চিন্তা থাকলে উদ্ভাবন হবে না। শিক্ষার্থীদের মৌলিক প্রয়োজন পূরণের জন্য ক্যাম্পাসই  যথেষ্ট। প্রত্যেক বিভাগে গবেষণা অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ দিয়ে শিক্ষার্থীদের একটি মিনিমাম টাকা দেওয়া যেতে পারে। গবেষণার জন্য একটা মিনিমাম টাকা পাবে। বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে টিচার অ্যাসিস্ট্যান্ট রয়েছে। প্রশাসনিক কাজ শিক্ষার্থীরা করে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ নেই।

এ সময় ছাত্রশিবির মনোনীত প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এফএইচ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।