আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী প্রধান সহযোগী জাতীয় পার্টিকে আবারও বিরোধী দল বানানোর চক্রান্ত চলছে বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
পরে যমুনার গেটে সাংবাদিকদের এ কথা জানান রাশেদ।
ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসকে বলেছি, বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছি, জাপার কাঁধে ভর করে আপা (পতিত সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা) ফিরে আসতে পারেন। জাতীয় পার্টিকে আবারও বিরোধী দল বানানোর চক্রান্ত চলছে।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগের মতো একই প্রক্রিয়ায় জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছি। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া যাবে না।
দেশে বর্তমানে দুটি সরকার পাশাপাশি অবস্থান করছে বলে মন্তব্য করে রাশেদ খান বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করেছি-যারা বর্তমানে প্রশাসনে আছেন, বিভিন্ন দপ্তরে আছেন, বাহিনীর প্রধানরা-তারা কি আপনার সরকারকে সহযোগিতা করছেন?
তিনি বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে দেখছি-তারা আপনাদের সহযোগিতা করছেন না। সে কারণে আমাদের মনে হচ্ছে, দেশে এখন দুটি সরকার পাশাপাশি চলছে। একটি আপনারা (ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার), আরেকটি অদৃশ্য সরকার। এটি আমরা স্পষ্টভাবে প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি।
এদিন এবি পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদ, এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় গণফ্রন্ট—এই সাতটি রাজনৈতিক দল এবং হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন অধ্যাপক ইউনূস।
গত রোববার বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে বৈঠক করেন ড. ইউনূস। ওই বৈঠকে তিনি সমসাময়িক রাজনীতি এবং আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেন।
এর আগে রোববার (৩১ আগস্ট) বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।
এমইউএম/টিএ/এসআইএস