জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি তোলা রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্য বিপদজনক বলে মন্তব্য করেছেন দলটির একাংশের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি করেছেন কিছু রাজনৈতিক দল।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশানে জাতীয় পার্টির মহাসচিবের বাসভবনে অনুষ্ঠিত দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জরুরি মতবিনিময় সভায় আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এসব মন্তব্য করেন।
মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি তার জন্মলগ্ন থেকেই জনগণের অধিকার, গণতান্ত্রিক চর্চা এবং শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ধারক ও বাহক। দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে জাতীয় পার্টি কখনোই কোনো রাজনৈতিক অপরাধে লিপ্ত হয়নি, কিংবা এমন কোনো কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়নি যাতে নিষিদ্ধ করার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভেতরে থেকেই জাতীয় পার্টি বারবার জনগণের কল্যাণ, উন্নয়ন, এবং রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতার পক্ষে কাজ করেছে।
ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, জাতীয় পার্টি শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, বরং দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বাধীনতার পর দেশের রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা, গ্রাম থেকে শহরে উন্নয়নের ধারা ছড়িয়ে দেওয়া, আধুনিক অবকাঠামো গড়ে তোলা এবং শিক্ষাব্যবস্থা ও অর্থনীতিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস জাতীয় পার্টির রয়েছে। এদেশের ছাত্র, যুব, নারী, শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষের হৃদয়ে জাতীয় পার্টি একটি আস্থার নাম।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টি বিশ্বাস করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হলে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। কাউকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি এলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে, জনগণের কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করে দেয়। তাই এই ধরনের দাবি কেবল অযৌক্তিকই নয়, বরং দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জনগণের রায়ের প্রতি অবমাননা।
সভায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট মো. মুজিবুল হক চুন্নু, অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশিদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাহিদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, মাসরুর মওলা, জসিম উদ্দিন ভূইয়া, মো. আরিফুর রহমান খান, সরদার শাহজাহান, ফখরুল আহসান শাহজাদা ও মো. বেলাল হোসেন।
এসএমএকে/এমজে