জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠা, শাপলা চত্বর ও ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গণহত্যার বিচারের দাবি, নির্বাচনে লেভেল-প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, বিদেশে পাচার হওয়া টাকার প্রত্যাবহার এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আলেমদের ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগসহ সাত দফা দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন। এই সমাবেশে বক্তারা দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক দায়িত্বশীলদের কাছে দ্রুত সুষ্ঠু বিচার ও সংশ্লিষ্ট দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানায়।
সমাবেশে খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী দাবি করে বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার আলেম সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। শাহবাগ, ২১ সালের হত্যা এবং ২৪ সালের আন্দোলনের হত্যাকাণ্ডের বিচার আজও হয়নি। একই সঙ্গে বিদেশে পাচার হওয়া হাজার কোটি টাকা ফেরত আনার উদ্যোগও ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক স্তরের বিদ্যালয়ে নৃত্য ও সঙ্গীতের শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ জনসমষ্টির চাহিদার বিপরীত; তিনি ওই প্রজ্ঞাপন বাতিল করে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আলেমদের ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের দাবি জানান। সমাবেশে আরও দাবি করা হয়, আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদান করে নির্বাচন পরিচালিত হলে তা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে।
খেলাফত আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন বলেন, ইসলামবিরোধীদের আইনের আওতায় আনা, শাপলা ও ২৪শে গণহত্যার বিচার, আলেমদের ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ— এসব দাবি পালন না করলে দেশের মানুষ নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ দেখতে চায় না; আগামী নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের অংশগ্রহণ ও ক্ষমতাসীনতা দেখতে চায়।
সমাবেশে দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরাও বক্তব্য দেন এবং হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দাবিগুলো মানা না হলে তারা দেশব্যাপী আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেবেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলের সহকারী মহাসচিব মাওলানা ফিরোজ আশরাফী ও যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা রুকুনুজ্জামান। সমাবেশ শেষে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
ডিএইচবি/এমজে