ঢাকা, শনিবার, ৫ আশ্বিন ১৪৩২, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

রাজনীতি

আগামীতে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাবে না: আনিসুল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৪০, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫
আগামীতে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাবে না: আনিসুল জাপা একাংশের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ/ ফাইল ফটো

জাতীয় পার্টির (জাপা) একাংশের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, ২০২৪  সালে একতরফা নির্বাচন হওয়ায় মানুষ ভোটকেন্দ্রে যায়নি। আগামীতে এ ধরনের নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি হলে এবারও মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাবে না।

আমাদের মনে রাখতে হবে,হিটলার মুসোলিনিও নির্বাচিত শাসক ছিলেন। কিন্তু তারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। যা কিছুদিন আগেও আমরা বাংলাদেশ দেখেছি। এর কারণে ৫ আগস্টের ছাত্র জনতার বিপ্লব । তাই আবারও যদি একতরফা নির্বাচন হয় তাহলে হিটলার মুসোলিনির মতো দেশে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম হবে।  

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশানে জাপার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা করেন।  

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ইতোমধ্যে প্রশাসনের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণরূপে দলীয়করণে অভিযোগ উঠেছে। কে বিএনপির লোক, আর কে জামায়াতের লোক দেখা হচ্ছে। সেভাবেই লোকজন বসানো হচ্ছে। এরকম একটি দলীয় প্রশাসনের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন কিভাবে হবে? 

সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে জাতীয় ঐক্য খুবই জরুরি। জাতীয় ঐক্যের ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টি সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সংস্কার হয়েছিল ১৯৯১ সালে। রাষ্ট্রপতি শাসনব্যবস্থা থেকে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় বাংলাদেশ যে যাত্রা শুরু করে সেটা সংসদে পাস হয়েছিল। অতএব আজকে যারা সংস্কার করছেন, সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নির্বাচিত সংসদ লাগবে।  

তিনি বলেন, আজকে যারা জাতীয় পার্টিকে দোসর হিসেবে চিহ্নিত করতে চান তারাও এক সময় আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচন করেছে। এমনকি তারা সংসদে ছিলেন। ২০০৮ সালে আমরা যেমন আওয়ামীলীগ সাথে জোট গঠন করেছি, ঠিক তেমনি ১৪ সালের নির্বাচনের আগে আমরা বিএনপির সাথে জোট গঠন করার জন্য একাধিক বৈঠক করেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিএনপির অনাগ্রহের কারণে সেই জোট গঠন হয়নি। আমি বারবার বলেছি, জাতীয় পার্টি কোনো বিপ্লবী পার্টি নয়। জাতীয় পার্টি একটি নির্বাচনমুখী দল।  
 
ব্যারিস্টার আনিস বলেন, আজকে যেমন জামায়াত হেফাজত, ইসলামী আন্দোলন এ ধরনের জোট গঠনের চেষ্টা করছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় পার্টিও জোট গঠন করেছিল। জোট গঠন করা যদি দোষ হয় সে দোষে বাংলাদেশের অধিকাংশ সব দল দোষী।  

তিনি বলেন, আজ জামায়াত আমাদের নিষিদ্ধের দাবি করছে কিন্তু আমরা কখনো জামায়াতকে নিষিদ্ধের দাবি জানায়নি। এমনকি আওয়ামীলীগ যখন জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে জাপা তার বিরোধিতা করেছিল। আমরা মনে করি কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা গণতন্ত্রের জন্য শুভ লক্ষণ নয়। অথচ দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে সেই জামায়াতকে জাপা নিষিদ্ধ করতে চায়।  

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, পিআর পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভাজন  দেখা যাচ্ছে। দেশে এক ধরনের অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা বিরাজ করছে। যা দেশের আগামী দিনের  রাজনৈতিক আকাশে কালো মেঘের ছায়া নেমে আসতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, নির্বাহী চেয়ারম্যান এডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু, সিনিয়ার কো— চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ, কো— চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাহিদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, লিয়াকত হোসেন খোকা, মোস্তফা আল মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য—নাসরিন জাহান রতনা, নাজমা আকতার,মাসরুর মওলা, জসিম উদ্দিন ভুইয়া, আরিফুর রহমান খান, সরদার শাহজাহান, নূরুল ইসলাম মিলন, মোবারক হোসেন আজাদ, মোঃ বেলাল হোসেন,জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক।

এসএমএকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।