বগুড়া: স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় পর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী একটি শক্তি ও এর আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতারা দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করতে নানা রকম ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মমতাজ উদ্দীন।
তিনি বলেন, এ ধরনের চক্রান্তের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের রুখে দাঁড়াতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শনিবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে শহরের সাতমাথায় বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য-স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। এরআগে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে সর্বস্তরের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। এই ঘোষণার পর পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে তাকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে আটক রাখা হয়।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে নয় মাস যুদ্ধের পর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্যদিয়ে জাতি বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করে।
এ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু, আওয়ামী লীগ নেতা জেলা পরিষদ প্রশাসক ডা. মকবুল হোসেন, রেজাউল করিম মন্টু, রফি নেওয়াজ খান রবিন, আবু সুফিয়ান সফিক, সুলতান মাহমুদ খান রনি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আসাদুর রহমান দুলু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন নবাব, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাগর কুমার রায়, যুবলীগ নেতা আলহাজ শেখ, শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, আমিনুল ইসলাম ডাবলু, ডালিয়া নাসরিন রিক্তা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল রাজি জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক মাশরাফি হিরোসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
এরআগে, সকাল ৭টায় শহরের সাতমাথার টেম্পল রোডে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করে সংগঠনটি।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৫