নাটোর: বিএনপির অনির্দিষ্টকালের অবরোধ চলাকালে নাটোরে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের আট কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
এরা হলেন-নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নের ভাটোদাঁড়া গ্রামের শহীদুল্লাহর ছেলে আব্দুল জলিল (২০), আবু তাহেরের ছেলে রানা মিয়া (২৬), আব্দুল করিমের ছেলে হাসান (২৩), গুরুদাশপুর উপজেলার ধারাবারিষা গ্রামের আব্দুল আলিম (৪৫), দাউদিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম (২০), চরপিপলা গ্রামের বেলাল হোসেন (৩৪), বড়াইগ্রাম উপজেলার রাজাকার মোড়ের রফিকুল ইসলাম (২৭) ও উত্তরপাড়া গ্রামের মুছা মিয়া (৩০)।
আটক কর্মীদের দুপুরে নাটোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্সি সাহাবুদ্দিন বলেন, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের দায়ে আট অবরোধকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে, টানা অবরোধের সমর্থনে ও নেতাকর্মীদের আটকের প্রতিবাদে মঙ্গলবার নাটোরে মিছিল-সমাবেশ করেছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।
সকালে আলাইপুর দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ছাত্রদল, যুবদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের হাফরাস্তা এলাকা প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে ফিরে গিয়ে সমাবেশ করে।
শহর জামায়াতের আমির আতিকুল ইসলাম রাসেল, ও সাবেক সভাপতি আলী আল মাসুদ মিলনের নেতৃত্বে শহরের দিঘাপতিয়ার রাজবাড়ী মোড়ে রাস্তায় পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে ইট ও বাঁশ ফেলে পিকেটিং ও মিছিল করে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা অবরোধের সমর্থনে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে।
অবরোধের কারণে নাটোর থেকে দূরপাল্লার ভারী যানবাহন চলাচল না করলেও শহরে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, নছিমন, ভটভটি চলাচল করছে। জেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। নাশকতা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৫