বরিশাল: বরিশাল থেকে ঢাকাগামী এমভি সুন্দরবন-৭ ও এমভি পারাবত-১০ নামে দু’টি লঞ্চের কেবিনে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
আগুনে সুন্দরবন লঞ্চের তৃতীয় তলার ২টি ও পারাবত লঞ্চের তৃতীয় তলার ১টি কেবিন পুড়ে যায়।
এসময় লঞ্চ দু’টির শতশত যাত্রীরা আতঙ্কে লঞ্চের মধ্যে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেন। পরে লঞ্চ ষ্টাফরা পানি দিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হন।
মঙ্গলবার (২০ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সুন্দরবন-৭ লঞ্চ থেকে নেমে আসা যাত্রী ও বাকেরগঞ্জের রগুনাথপুরের বাসিন্দা মো. হানিফ ও তার স্ত্রী শাহিদা জানান, তারা বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে লঞ্চঘাটে এসে সুন্দরবন-৭ লঞ্চের ডেকে জায়গা করে নেন। পরে রাত পৌনে ৯টার দিকে আগুনের কথা শুনে তারা লঞ্চ থেকে নেমে যান।
তারা জানান, ঘাটে নেমে জানতে পারেন পারাবত ১০ লঞ্চের কেবিনেও আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
নৌ-ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ওই দু’টি লঞ্চের তৃতীয় তলার ৩টি কেবিনে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এতে কেউ হতাহত না হলেও তাৎক্ষণিক ভাবে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে লঞ্চটি ঘাট থেকে দ্রুত সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপ পরিচালক আবুল বাশার জানান, দুর্বৃত্তদের আগুনে দু’টি লঞ্চের ৩টি কেবিন পুড়ে গেছে। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় লঞ্চ দু’টি আবার সোয়া ৯টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে মঙ্গলবার রাত ৮টায় বরিশালের উজিরপুরের হস্তিসুন্ড এলাকায় চলন্ত বাসে ভাংচুর চালিয়েছে অবরোধকারী। এ ঘটনায় পুলিশ শহিদ ঢালী নামের এক বিএনপি কর্মীকে আটক করেছে।
উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, বরিশাল থেকে উজিরপুরের সাতলাগামী একটি যাত্রীবাহী লোকাল বাস রাত ৮টার দিকে হস্তিসুন্ড পৌঁছলে সেটিকে লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
এসময় স্থানীয় জনতা শাহিদ ঢালীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
তবে এ ঘটনায় কোনো যাত্রী আহত হয়নি বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৫