ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপির তিনটি বড় ভুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৫
বিএনপির তিনটি বড় ভুল সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত

ঢাকা: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, বিএনপির তার রাজনীতিতে তিনটি বড় ভুল করেছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে খালেদা জিয়ার দেখা না করাটা ছিলো তৃতীয় বড় ভুল।


 
সোমবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। চলমান রাজনীতি বিষয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী।
 
সুরঞ্জিত সেন বলেন, বিএনপির তার রাজনীতিতে তিনটি বড় ভুল করেছে। এর একটি হলো নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী বেগম খাদেলা জিয়াকে আলোচনায় ডেকেছিলেন। নিজে থেকে ফোন করেছিলেন। নির্দলীয় সরকার না হলেও সর্বদলীয় সরকার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়া সেই ডাকে সাড়া দেননি।

এর আগেও আরেকবার আলোচনার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সবশেষ গত শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন দেখা করতে। কিন্তু কার্যালয়ের ফটক তালা মেরে রাখা হয়েছিলো। কাজেই এটা ছিলো বিএনপির তৃতীয় বৃহত্তর ভুল। তিনি সেদিন দেখা না করে শান্তির পরিবর্তে সন্ত্রাসের পথকেই বেছে নিলেন।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপির এখন আর রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে না। পরিচালিত হচ্ছে দলীয় কর্মচারীর দ্বারা। ব্যারিস্টার মওদুদ নিজেই বলেছেন- প্রধানমন্ত্রী এসেছেন অথচ তারা কিছুই জানেন না। কাজেই থলের বিড়াল বেরিয়ে এসেছে। মওদুদ বলেছেন সেদিন সৌজন্য দেখানো হয়নি।

তিনি বলেন, হাসপাতালে মুমূর্ষু রোগী কথা বলতে পারে না। কিন্তু তবু আমরা দেখতে যাই। সমবেদনা জানাই। এটাই মানবতা। কিন্তু সেদিন বলা হলো ইনজেকশন নিয়ে ঘুমিয়েছেন খালেদা, দেখা করা যাবে না। কিন্তু কথা না হয় নাই হতো। কি হতো একটু চোখের দেখা দেখে আসলে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
 
‘কাজেই শিমুল পলাশ টলাশ দিয়ে রাজনীতি হয় না’ যোগ করেন
সংবিধান প্রণেতা ও সাবেক এই রেলমন্ত্রী।
 
তিনি বলেন, বিএনপি এখন আর গণতান্ত্রিক দল নয়। কেননা খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না দিয়ে নিজেকে সন্ত্রাসের রানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কাজেই অপাত্রে ঘি ঢেলে লাভ নেই। এখন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সন্ত্রাসমুক্ত করতে হবে।
 
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বাধীনতা লীগের মহাসচিব ডা. খন্দকার মো. ইমদাদুল হক সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবীর মিজিসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, ২৬ জানুয়ারি, ২০১৪/আপডেটেড : ১৪১৭ ঘণ্টা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।