নীলফামারী: বিশ্ব ইজতেমা শেষে গত ২১ জানুয়ারি ট্রাকযোগে বাড়ি ফেরার পথে অবরোধকারীদের ছোড়া পেট্রোল বোমায় দগ্ধ আব্দুল মালেককে(৫৫) ছয়দিন পরে মৃত্যুবরণ করেছেন।
সোমবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে আসরের নামাজের পর তার দাফন সম্পন্ন হবে। নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের সহদেব বড়গাছা বানিয়াপাড়া গ্রামের স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
নিহত আব্দুল মালেকের ছেলে আব্দুল মতিন জানান, অবরোধ চলাকালে ২১ জানুয়ারি রাতে দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমা শেষে ট্রাকযোগে বাড়ি আসার সময় দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার ভাঁদ-গাঁ ব্রীজ এলাকায় দুর্বৃত্তের ছোড়া পেট্রোল বোমায় দ্বগ্ধ হন আব্দুল মালেক ও ট্রাক চালক রফিকুল ইসলাম।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে ছয় দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর সোমবার দুপুরে মারা যান মালেক। জুয়েলারি ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক স্ত্রী, তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. মারুফুল ইসলাম জানান, ভর্তি হওয়ার পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে(আইসিইউ) নেয়া হয় মালেককে। কিন্তু সোমবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহত মালেকের বড় ছেলে আব্দুল মোত্তালেব বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার বিকেলে আসরের নামাজের পর জানাজার নামাজ শেষে গ্রামের কবর স্থানে মালেককে দাফন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫