বগুড়া: বগুড়ায় বিএনপির নেতৃত্বাধীন স্থানীয় ২০-দলীয় জোটের ডাকা ৪৮ ঘন্টা হরতালে দুই একটি জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ এবং গাছের গুড়ি ফেলে ও টায়ার জ্বালানোর চেষ্টা করলেও কোনো রকম প্রভাব পড়েনি।
সোমবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল থেকেই শহরের ভেতরে ও বাইরে রিকশা, অটোরিকশাসহ মাঝাড়ি ও বড় ধরনের যান চলাচল ছিল অনেকটাই স্বাভাবিকের মতো।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকাল ১১টা পর্যন্ত শহরের শেরপুর রোডের ঠনঠনিয়াসহ সদরের সাবগ্রাম ও এরুলিয়া গোদারপাড়ায় দুইটি ককটেল বিস্ফোরণসহ গাছের গুড়ি ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলেও পুলিশি তৎপরতার কারণে নুন্যতম সময় স্থায়ী হতে পারেনি হরতাল সমর্থিত সেসব ধ্বংস্বাত্মক কর্মকাণ্ড।
আগের দিনের মতোই ট্রেন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। যাত্রীবাহী বাস না চললেও পুলিশি প্রহরায় দুপুরে দুরপাল্লার বেশকিছু পণ্যাবাহী ট্রাক শহরে ঢুকেছে এবং শহর ছেড়ে গেছে।
হরতালের বিপক্ষে সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীরা সাতমাথায় অবস্থান নেয়। পরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে দুপুর ১টা পর্যন্ত শক্ত অবস্থান নিয়ে তারা মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে। সমাবেশ থেকে বিএনপি-জামায়তের ধ্বংসাত্মক রাজনীতির বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবিলা করার আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে এ ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তিও দাবি করা হয়।
বিএনপি’র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের হুমকি, দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি, বগুড়া জেলা জামায়াত ইসলামির নায়েবে আমির ও শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাওলানা আলমগীর হুসাইন ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি শাহ মো. মেহেদি হাসান হিমুসহ ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীর নামে মামলা, গ্রেফতার, হয়রানী ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ২৩ জানুয়ারি দুপুরে লাগাতার ৪৮ ঘন্টার হরতাল আহ্বান করে স্থানীয় ২০ দলীয় জোট।
জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) গাজিউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, রাত ৭টা পর্যন্ত জেলার কোথাও কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫
