ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহবাহী ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবে মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায়।
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি (এমএইচ ১০২) ফ্লাইটে তার মরদেহ আসবে।
আরও থাকবেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালু, কোকোর নিকটাত্মীয় এস এম হাসান রাজা ছাড়াও মালয়েশিয়া বিএনপির মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ শহীদ, মাহবুব আলম শাহ,আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ তালহা মাহমুদ, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন নাসির ও মোহাম্মদ মিনহাজ।
বিমানবন্দরে আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ গ্রহণ করবেন বিএনপির ৫ নেতা। খালেদা জিয়া নিজেই তাদের মরদেহ গ্রহণের দায়িত্ব দিয়েছেন।
এরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আবদুল্লা আল নোমান ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী।
বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইং এর এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান প্রেসব্রিফিংয়ে বলেন, আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে। বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল (স্থায়ী কমিটি ও ভাইস চেয়ারম্যান পদভুক্তরা) কোকোর মরদেহ গ্রহণ করবেন। এরপর বিমানবন্দর থেকে কোকোর মরদেহ বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে নিয়ে আসা হবে, যাতে তার মা (খালেদা জিয়া) ও আত্মীয়-স্বজনরা দেখতে পারেন।
তবে গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আসতে পারবেন না। শুধুমাত্র পারিবারিক সদস্যরাই এখানে কোকোর মরদেহ দেখতে পারবেন বলেও জানান তিনি।
জানাজা সম্পর্কে নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিকেল ৪টার মধ্যে কোকোর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদে নিয়ে যাওয়া হবে এবং বাদ আসর তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
পরে কিছুক্ষণ সর্ব সাধারণের দেখার জন্য কোকোর মরদেহ বায়তুল মোকাররম মসজিদে রাখা হবে। শেষে বনানী সামরিক কবরস্থানে তাকে দাফনের কথা রয়েছে।
নজরুল ইসলাম বলেন, একজন সেনা কর্মকর্তার সন্তান হিসেবে ওখানে দাফন তার (কোকো) প্রাপ্য। আমরা লিখিতভাবে সেখানে দাফনের অনুমতি চেয়েছি। আশা করি, কোকোর মরদেহ আমরা সেখানে দাফন করতে পারবো।
এক প্রশ্নের উত্তরে বিএনপির এই নেতা জানান, বনানীর সামরিক কবরস্থানে কোকোর মরদেহ দাফন করা যাবে কিনা, সে ব্যাপারে তাদের সংশয় রয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ন্যায্য কাজ হচ্ছে না।
শনিবার (২৪ জানুয়ারি) মালয়েশিয়া অবস্থানকালে আরাফাত রহমান কোকো আকস্মিকভাবে বুকে ব্যথা অনুভব করেন। এরপর স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলেন।
কোকোর মরদেহ সেখানকার একটি হিমঘরে রাখা ছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫
** কোকোকে শেষ বিদায় জানালো মালয়েশিয়া বিএনপি
** কোকোর মরদেহ পৌঁছাবে মঙ্গলবার সাড়ে ১১টায়
** কোকোর মরদেহের সঙ্গে আসছেন যারা
** কোকোর মরদেহ নেবেন ৫ নেতা